কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার ২ টি পয়েন্টে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে বেপরোয়া চাঁদা আদায় করছে হাইওয়ে পুলিশের লোকজন। ১ টি পয়েন্টে চিরিংগা বাণিয়ারছড়া হাইওয়ে পুলিশ, আরেকটি পয়েন্টে ডুলাহাজারা মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের লোকজন নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে। এসব পয়েন্টে নিজেদের পকেট ভারী করতে বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে নামেন হাইওয়ে পুলিশের সাজেন্ট ও কনস্টবল’রা।
উপজেলার চিরিংগা বানিয়ারছড়া হাইওয়ে পুলিশের ও ডুলাহাজারা মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের টু আইসি চাঁদাবাজির মহোৎসবে মেটে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের চাঁদাবাজিতে যাত্রী সাধারণ ও মোটর লাইনে সংশ্লষ্টরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশের দুই ফাঁড়ির দুটি টিম, দুপুর ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত অন্য দুটি টিম দায়িত্ব পালন করেন। উত্তর হারবাং, বানিয়ারছড়া, বরইতলী রাস্তার মাথা, হাঁসের দীঘি, ডুলাহাজারা কলেজ গেইট, মালুমঘাটসহ প্রায় ১০ টি স্পর্টে হাইওয়ে পুলিশের চলছে ওপেন চাঁদাবাজি। টুইপাস কামানোর জন্য যে কোনে হাইওয়ে পুলিশের সাজেন্ট বা কনস্টেবল এ উপজেলায় দায়িত্ব পেতে জোর তদবির চালান। আর হাইওয়ে পুলিশের এই চাঁদাবাজির কারণে চলে অবৈধ লাইন্সেবিহীন গাড়ী। ফলে হাইওয়ে পুলিশের অবৈধ আয়ের ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত লাভ করেছে এসব হাইওয়ে স্পর্ট। চলাচলকারী কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক বাহী গাড়ী, মালবাহি ট্রাক, মাইক্রো, জীপ, মাহিন্দ্রা, মোটর সাইকেল, ও মিউজিক গাড়ী থামিয়ে ডকুমেন্ট দেখার নামে হরদম দুই’শ থেকে পাঁচ’শ পর্যন্ত উৎকোচ নিয়ে নিচ্ছে বলে একাধিক গাড়ী ড্রাইবারের অভিযোগ। জানা গেছে, অধিকাংশ যানবাহনে কাগজ পত্র ঠিক থাকার পর ও নানান ধরনের সমস্যা দেখিয়ে নয়-ছয় করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কাগজ বিহীন গাড়ী থামিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায়ের মাধ্যমে ঠিকই গাড়ী ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উটেছে। প্রতিদিন এভাবে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ী থেকে কৌশলে টাকা আদায় করে নিচ্ছে। চকরিয়া-কক্সবাজার রোড়ের গাড়ী চলাচল করতে চিরিংগা বাণিয়ারছড়া, ডুলাহাজারা মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের সাথে দৈনিক মাসে চুক্তিতে আসতে হবে পুলিশী চুক্তিতে না আসলে যত্রতত্র গাড়ী থামিয়ে হয়রানী করে থাকে।
চকরিয়া ট্রাক মালিক গ্রুপের দাযিত্বশীল এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মহাসড়কে পুলিশ চাঁদাবাজী ওপেন সিক্রেট। এরা গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করে। প্রতিবাদ করছেন না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলে থেকে কুমিরের সাথে যুদ্ধ করা যায়না, কারন হিসেবে জানিয়েছেন আকাশে যত তারা পুলিশের তত ধারা। অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের ইনর্চাজ মোঃ আনোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি সিটিএনকে বলেন হাইওয়ে পুলিশ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও ডাকাতি প্রতিরোধের জন্য সড়কে অবস্থান করেন। তিনি চাঁদাবাজির বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ জড়িত নই বলে জানান। যদি যাচাই করে সঠিক হলে তিনি রিপোর্ট করতে বলেন।
জানতে চাইলে চিরিংগা বাণিয়ারছড়া হাইওয়ে পুলিশের ইনর্চাজ আবুল হাশেম বলেন, হাইওয়ে পুলিশ চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নই, তিনি এ প্রতিবেদককে সরেজমিনে পরির্দশনে যেতে বলেন।