কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে। পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষার স্বার্থে নদীতে বর্জ্য নিক্ষেপ ও প্যারাবন নিধন বন্ধ করা হবে।মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত কক্সবাজার জেলা নদী রক্ষা কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন কমিটির সদস্য ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেখ ফরিদ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া, পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, ক্যাবের জেলা সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী, কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী, সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাত, মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ।
সভার শুরুতে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর চিত্র তুলে ধরে বলেন, যেকোনো মূল্যে বাঁকখালী নদী বাঁচাতে হবে। একসময় নদীটি এই শহরের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। এখন পাহাড় কাটার মাটি আর শহরের বর্জ্য, ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। চলছে নদীর চর ও তীর দখল-বেদখল। সেখানে তৈরি হচ্ছে নানা স্থাপনা। এসব দ্রুত উচ্ছেদ করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
ক্যাব সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৫৫ টন বর্জ্য বাঁকখালী নদীতে ফেলা হচ্ছে। শহরের নয়টি হাসপাতাল ও পৌরসভার বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। হাসপাতালের ক্ষতিকর ময়লা ও শহরের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এই নদীতে। ফলে পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে।
আবু তাহের বলেন, নদীর চর ও তীর দখল করে ইতিমধ্যে হাজারো স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। প্রশাসন অবৈধ দখলদারদের তালিকা
তৈরি করলেও উচ্ছেদ হচ্ছে না। এতে অন্য দখলদারেরা উৎসাহিত হচ্ছে। বাঁকখালীতে বাঁচাতে হলে অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে।
আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, পাহাড় কাটার মাটি ও শহরের ময়লা-আবর্জনা নিক্ষেপের কারণে নদীর তলদেশ ভরাট হয়েছে। নদীর গতিপথ সংকুচিত হওয়ায় শহরের কয়েক হাজার মাছ ধরার ট্রলার ও যাত্রী পারাপারের নৌযান ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য
রামুর চেইন্দা এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করলেও যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় সেখানে ময়লা ফেলা যাচ্ছে না।