টেকনাফ শাপলাপুর সড়কে সড়ক দূর্ঘটনা চরম আকার ধারন করেছে। মাত্র কয়েক মাসে হতাহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে প্রায় ১শ। হতাহতের মধ্যে অধিকাংশই বিভিন্ন স্কুল ও মাদরাসায় পড়ুয়া শিশু। সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে অনেকে চির বিদায় ও আবার অনেকে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা নাড়ছে। শিশু ও লাইসেন্স বিহীন চালকদের অজ্ঞতাই দূর্ঘটনার মূল কারন বলে মনে করছেন ক্ষতি গ্রস্তরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় টেকনাফ পৌরসভার ইসলামাবাদ তৌহিদিয়া মাদরাসার সামনে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে আহত হয়েছে ১০ ছাত্র। গত কাল সকালে মাদরাসার গেইটের সামনে দোকানে নাস্তা নিতে আসার সময় অটো রিক্সার ধাক্কায় ২য় শ্রেণীর ছাত্র শামশেদ হাশেম জিসান (৮) এর বাম পা ভেঙ্গে যায় বর্তমানে চমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গেল সপ্তাহে মাদরাসা ছুটি হয়ে বাড়ী ফেরার পথে একই স্থানে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১ম শ্রেণীর ছাত্রী জেসমিন আক্তার (৮)। কয়েক মাসে একই স্থানে আহত হয়েছে মোহাম্মদ আরিফ(৯), রোকেয়া আক্তার(১১), হাবিবা (৮), মোহাম্মদ হারুন (১৪) মুয়াজ্জিন জাফর আলম(৫২) ও একই পরিবারের ভাই বোন আরিফ(৭) আরিফা(৯)সহ অনেকে আহত হয়েছে। তৌহিদিয়া মাদরাসার পরিচালক মাও. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন ইসলামাবাদ বাজার ও মাদরাসা গেইট সংলগ্ন উঁচু নিচু সড়ক দিয়ে বেপরোয়াভাবে গাড়ী চালানোর কারনে একই স্থানে দূর্ঘটনা ঘটছে বার বার। গাড়ীর বেপরোয়া চলা চল রোধে গতিরোধক ব্যবহার করা হলে কমতে পারে দূর্ঘটনা, রক্ষা পেতে পারে অনেক শিশুর জীবন। এছাড়া লেঙ্গুর বিল বড় মাদরাসার সামনেও একইভাবে আহত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। গেল সপ্তাহে আদুল ওয়াহিদ (১৮) আফিয়া(৭) আহত হয়। হেফজ বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ কাউসার আহত হয়ে বর্তমানে পঙ্গুত্ব জীবন পার করছে। কয়েক দিন আগে শামলাপুর বাজারে টমটমের আঘাতে মারা গেছে এক ছাত্র। কচ্ছ পিয়াস্কুল, রাজার ছড়া স্কুল, দরগারছড়া স্কুল ও নুরানীর অসংখ্য ছাত্র দূর্ঘটনায় আহত হয়েছে। দূঘর্টনার ভয়ে বিদ্যালয়ে আসতে বারণ করছে অনেক অভিভাবক। টেকনাফ শাপলাপুর সড়কে দূর্ঘটনা রোধে প্রশাসনের প্রতি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল। এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাও. রফিক উদ্দীন বলেন সড়ক দূর্ঘটনায় হতাহতের অবস্থা দেখে খুবই খারাপ লাগছে, বেপরোয়া চলাচলে সতর্কতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন।