টেকনাফের সাথে সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম থাইংখালী ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে দীর্ঘ দিন থেকে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ ওই সেতুর গোড়ালিতে বালির বস্তা ফেলে রক্ষার করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি সতর্কতার সহিত ভারী যানবাহন চলাচল করার জন্য সেতুর উপর লাল পতাকা দিয়ে সতর্ক করে দিলেও যে কোন সময়ে ব্রিজটি ধ্বসে পড়ে প্রাণহানির আশংকা করছেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে কক্সবাজার-টেকনাফ ৭৯ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১১টি ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন করেছে। তথাপিও বেশ কয়েকটি ব্রিজ কালভার্ট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বিদ্যমান রয়েছে। বিগত মাসে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে মধ্য রাজাপালং এলাকায় একটি কালভার্ট ধ্বসে পড়ে প্রায় এক সপ্তাহকাল যাবত সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে টেকনাফ ও উখিয়ার অসংখ্য যাত্রীকে দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ইতিমধ্যে, এ সড়কের থাইংখালী ষ্টেশনের প্রায় ৮০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় যানবাহন মালিক সমিতি বিষয়টি একাধিকবার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নজরে দিয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি সড়ক ও জনপদ বিভাগ উক্ত ব্রিজের উভয় দিকের গোড়ালিতে কাঠের বল্লী পুঁতে বালির বস্তা ফেলে জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করলেও এ ব্রিজটি যে কোন সময় ধ্বসে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভারী যানবাহন চলাচলের সময় ব্রিজটি কেঁপে উটে। এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী দুর্বৃত্ত থাইংখালী খাল থেকে নির্বিচারে বালি উত্তোলনের ফলে ব্রিজের এ করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজটি ধ্বসে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সংস্কার করে যানবাহন চলাচল সচল রাখা কঠিন হয়ে পড়বে বিধায় যানবাহন মালিক সমিতি আগে ভাগে ব্রিজটি যুগোপযোগী সংস্কারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, ব্রিজটি মেরামত করার জন্য গত ৩ বছর ধরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের অনুরোধ করা হলেও তারা তা আমলে নেয়নি। যার ফলে প্রতিনিয়ত ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ব্রিজটির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়–য়া ব্রিজটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ব্রিজটি রক্ষা করার জন্য ইতিমধ্যে সংস্কার কাজ করা হয়েছে। প্রয়োজনবোধে আরো সংস্কারের জন্য যা যা করণীয় তাই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।