কক্সবাজার পৌরসভায় টমটমের লাইসেন্স নিয়ে চলছে রমরমা মহা বাণিজ্য। কাউন্সিলরদের একটি সিন্ডিকেট মোটা অংকের টাকা নিয়ে লাইসেন্স বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অনেক টমটমের মালিক নিয়ম মাফিক টাকা দিয়েও নানা ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এছাড়া পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি লাইসেন্স নিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করে সাধারণ টমটম চালকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
জানা যায়, শহরের যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়শঃ লাইসেন্স বিহীন টমটম আটক অভিযান চালায় ট্রাফিক পুলিশ। কিছু টমটম নগদ টাকা ও ভিআইপি ফোনের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয় এবং আটক অন্য টমটমের লাইসেন্স না থাকায় ২২শ টাকা জরিমানা করে মামলা করা হয়। এছাড়া পৌরসভার রেজিষ্ট্রেশন ভুক্ত টমটম গুলোকে সামনের অংশ হলুদ ও পেছনে লাল রং দিয়ে চলাচল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত মেয়রের নেতৃত্বে কাউন্সিলর ও পৌরসভার কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট। তাদের প্রত্যেকের আওতায় ২৫ থেকে ৪০ টি টমটমের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য ক্ষমতায়ন করেছে ভারপ্রাপ্ত মেয়র। তারা নতুন ভাবে লাইসেন্স দেওয়ার নামে লাইসেন্স প্রতি ৫০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার পর্যন্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এর একটি অংশ যাচ্ছে ভারপ্রাপ্ত মেয়র রাজ বিহারীর পকেটে। বাকি টাকা সমূহ নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা হচ্ছে। অনেক টমটমের মালিক টাকা দিয়েও লাইসেন্স পেতে সম্মুখিন হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়।
এছাড়া পৌরসভার কর্মচারি উত্তম পাল লাইসেন্স নিয়ে দেওয়ার কথা বলে চালক ও মালিকদের কাছ থেকে ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাগিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহাবুবুর রহমান জানান, আনীত অভিযোগ গুলো মিথ্যা। যদি কেউ লাইসেন্স নিয়ে বাণিজ্য করে তাহলে প্রমাণ ভিত্তিক রিপোর্ট করুন, কোন সমস্যা নেই।