বিশ্বের দরবারে আরো একদাপ এগিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার। বর্তমান সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হওয়ায় পুরো জেলাবাসি খুশি। কিন্তু নির্মাণ কাজে কক্সবাজারের কোন শ্রমিক এমনকি পূর্নবাসিত এলাকার কোন শ্রমিককে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়া হয়নি। এতে করে হাজারো শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। অতচ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণ কাজের জন্য শ্রমিক আনা হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে। সরকারের একটি বৃহৎ প্রকল্পে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থানীয় লোকজনকে কোন কাজেই সম্পৃক্ত না করায় শ্রমিকরা হতাশ। গতবছর ২ জুলাই গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে’র মাধ্যমে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজের জন্য প্রথম পর্যায়ে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৮ কোটি টাকা। গত বছরের ২ জুলাই গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে’র মাধ্যমে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (প্রথম দফায়) সম্প্রসারণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়নের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে এবং কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
সুত্র মতে, রানওয়ে সম্প্রসারণ, মাটি ভরাট, ভূমি উন্নয়ন এবং ড্রেজিংয়ে ৫‘শতাধিক শ্রমিক দিনরাত কাজ করছে। এসব শ্রমিক দক্ষিণাঞ্চলে থেকে আনা হয়। গাড়ী চালক, মেশিন চালক, ট্রলিম্যান, রানওয়ে পরিস্কার, নাইটগার্ডসহ বিভিন্ন কাজে শতশত শ্রমিক এখানে নিয়োজিত রয়েছে। শুধু সুপারভাইজার পদে রয়েছে ২‘শ জন। ঠিকাদার মীর আকতার হোসেনের আত্মীয় এসব শ্রমিক নিয়োগ থেকে শুরু করে সমস্ত মালামাল ও সরঞ্জাম সরবরাহের সাব ঠিকাদারি নিয়েছে বলে জানা গেছে। এতে করে বিদেশী কোম্পানীও প্রতারিত হচ্ছে। এসবের নের্তৃত্ব দিচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর আকতার হোসেন লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মানিক কুমার বিশ্বাস।
আন্তর্জাতিক বিমানবন্র সম্প্রসারণের জন্য চরপাড়া, সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়াসহ আশপাশের ৪৪০৯টি ভুমিহীন উদ্ভাস্তু পরিবারকে বাকঁখালী নদীর পার্শ্বে খুরুস্কুলে পুর্নবাসিত করা হবে। এসব পরিবারের মধ্যে দিনমজুর থেকে শুরু করে কয়েক হাজার নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষ রয়েছে। তারা আশায় বুক বেঁেধ ছিলো শ্রমিক হিসেবে অনভিজ্ঞ দোহায় দিয়ে এখানকার লোকজনকে সম্পৃক্ত করা হবে। কিন্তু একজন লোককেও নিয়োগ দেয়া হয়নি।
শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকার আবুল কাশেম, চরপাড়ার মোঃ বেলাল, মোঃ হোসেন, মুন্না, সমিতিপাড়ার আজগর আলীসহ অনেক শ্রমজীবি লোকজন জানান, আমরা বড়ো আশা করেছিলাম আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করতে পারবো। কিন্তু জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শ্রমিক এনে কাজ করা হচ্ছে। কক্সবাজার জেলার শ্রমিকদের মুল্যায়ন করা হয়নি। এতে করে আমরা কাজ বঞ্চিত হয়েছি।
নুনিয়াছড়া এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জানান, বিমান বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের চাকুরীর জন্য নুনিয়াছড়া এলাকা থেকে উচ্চ শিক্ষিত থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০০ জন ব্যক্তির তালিকা করা হয়েছিল অনেক আগে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একজন ব্যক্তিকেও এখানে নিয়োগ করা হয়নি।
তারা আরো জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোরিয়ান কোরিয়ান হাল্লা, সী অ কং এর একজন পিডি কক্সবাজারে রয়েছে। কিন্তু তার সাথে কাউকে কথা বলতে দেন না।
জেলার বড় ধরনের এই উন্নয়ন কাজে স্থানীয় লোকজনকে সম্পৃক্ত না করায় বিমানবন্দরের আশপাশের হাজারো অভিজ্ঞ শ্রমিক বেকার অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। বিষয়টির দিকে নজর দেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।