কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের কক্সবাজার রেঞ্জের ঝিলংজা বনবিটের দক্ষিণ জানারঘোনার চাইন্দারঘোনা এলাকায় সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নেয়ার হিড়িক পড়েছে। দুবৃর্ত্তরা রাতের আঁধারে পাহারাদারদের হুমকি ধমকি দিয়ে এসব গাছ কেটে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে এসব দুর্বৃত্ত প্রায় অর্ধশত আকাশমনি গাছ কেটে নিয়ে যায় বলে খবর পাওয়া গেছে।
সামাজিক বনায়নের অংশীদাররা জানান, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের কক্সবাজার রেঞ্জের ঝিলংজা বন বিটের আওতায় ২০১১-১২ সালে সৃজিত সামাজিক বনায়নের বাগানে বেশ কিছুদিন ধরে একদল দুর্বৃত্ত হানা দিয়ে গাছ কেটে নিচ্ছে। সর্বশেষ গত সোমবার দিবাগত রাতে সামাজিক বনায়নের অংশীদার আবদুর রহিম, খাদিজা, উম্মে কুলসুমসহ বেশ কয়েকজনের প্লট থেকে প্রায় অর্ধশত আকাশ মনি গাছ কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বনায়নের অংশীদার আবদুর রহিম জানান, সামাজিক বনায়নের গাছ অনেক কষ্টে বনকর্মী, সিপিজি সদস্য, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের সহায়তায় পাহারা দিয়ে রাখা হচ্ছে। কিন্তু ২০১১-১২ সালের বাগানে গাছ কিছুটা বড় হওয়ায় গাছের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একটি চক্রের। তারা এসব গাছ বিভিন্ন কৌশলে কেটে নিচ্ছে।
অংশীদার উম্মে কুলসুম জানান, গত সোমবার দিবাগত রাতে রহিম, খাদিজা ও তার প্লট থেকে ১৫টি গাছ কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি তাৎক্ষনিক বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আলী কবীর, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জিকু, রেঞ্জ কর্মকর্তা তাফস কুমার দেব ও ঝিলংজা বনবিট কর্মকর্তা আবদুল করিম মজুমদারকে অবহিত করা হয়েছে।
ঝিলংজা বনবিট কর্মকর্তা আবদুল করিম মজুমদার জানান, সামাজিক বনায়নের গাছ কাটার ঘটনা শুনে তিনি সরেজমিন গিয়ে দেখেছেন এবং কারা এসব ঘটনায় জড়িত তা অনুসন্ধান করছেন।
ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জিকু বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। এটি শুনে কষ্টও পেয়েছি, কারণ এসব গাছ অনেক কষ্ট করে পাহারা দিয়ে রাখা হয়েছে। কারা গাছ কাটার সাথে জড়িত তা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কক্সবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা তাফস কুমার দেব বলেন, ‘অংশীদারদের কাছ থেকে গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরই আমি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি।’
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আলী কবীর বলেন, ‘সামাজিক বনায়নের অংশীদারদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’