শীতের বিকেলে সোনালি রোদ। বইছে উত্তরের হাওয়া। কিন্তু একি? আকাশে উড়ছে অজগর, ডলফিন-হাঙর, অক্টোপাস! ডানা মেলেছে ইয়া বড় প্রজাপতিও। এদের মধ্যে ক্ষণে ক্ষণে লাগছে ঠোকাঠুকি। একে অপরকে ঘায়েল করার চেষ্টা। ভাবছেন আকাশে আবার এ কোন আজব যুদ্ধ!
যুদ্ধ নয়, বলছিলাম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ঘুড়ি উৎসবের কথা। উৎসবে ওড়ানো হয় বিভিন্ন পাখি ও প্রাণীর আদলে বানানো ঘুড়ি। সৈকতে দুই দিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন।
আকাশে উড়ছে বাঘ, অজগর, হাঙর, ডলফিন, অক্টোপাস, জেলি ফিশসহ অারও কত প্রাণী৷ আর দর্শক প্রাণভরে উপভোগ করছে সেই দৃশ্য৷ দৃশ্যটি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের৷
“কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে পরিচ্ছন্ন রাখুন” শ্লোগানকে ধারণ করে ১৫ ফেব্রয়ারী’১৬ কক্সবাজার সৈকতে লাবনী পয়েন্টে ঢাকাবাসী সংগঠন ও বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে নিটল-টাটা ঘুড়ি উৎসব’২০১৬।
ঢাকাবাসী সংগঠনের সভাপতি শুকুর সালেক এর সভাপতিত্বে উক্ত ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকাবাসী সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহীন পারভীন, ঘুড়ি ফেড়ারেশনের সহ-সভাপতি খন্দকার মনির হোসেনসহ ঢাকাবাসী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।
জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বেলুন উঠিয়ে ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠানে উদ্ধোধন করেন। পরে ঢাকাবাসী সংগঠনের সদস্যদের সাথে ঘুড়ি উঠাতে যোগ দেন তিনি। এ সময় ঘুড়ি উৎসব উপভোগ করার জন্য ভিড় জমায় কক্সবাজার সৈকতে আগত পর্যটকরা। ঘুড়ি উৎসবে রং বেরং এর বিভিন্ন ঘুড়ি উড়ালো ঢাকাবাসী সংগঠনের সদস্যরা।
জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বলেন, ‘আগামী ৫ বছরের পাল্টে যাবে কক্সবাজার সৈকতের চেহারা। কক্সবাজারকে সুন্দর ও আকর্ষনীয় করতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ। আগামী মাসে শুরু সৈকতের লাইটিং এর কাজ। তৈরী করা হবে সবচেয়ে বড় কমপ্লেক্স।’
আয়োজকেরা জানান, এই উৎসবে ইগল, রুপচাঁদা, প্রজাপতি, ডলফিন, ড্রাগন, ট্রেন, মৎস্যকন্যাসহ অন্তত ৩০ ধরনের হাজারো ঘুড়ি ওড়ানো হয়। সন্ধ্যা ও রাতে ওড়ানো হয় আকর্ষণীয় আলোক ঘুড়ি ও ফানুস বাতি। ‘ঘুড়ি ওড়ানোর দুটি পূর্বশর্ত হচ্ছে বাতাস আর শুষ্ক আবহাওয়া। এই সৈকতে তার দুটোই রয়েছে। আমরা সৈকতের নির্মল আকাশ-বাতাস রক্ষার দাবিতে এই উৎসবের আয়োজন করেছি।’