জায়গা সংকটে কক্সবাজার থেকে ফেরত যেতে বসেছে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প আধুনিক ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন নির্মান প্রকল্প।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৮টি আধুনিক ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর মধ্যে পর্যটন নগরীকে প্রাধান্য দিয়ে কক্সবাজারেও একটি আধুনিক ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু শুধুমাত্র ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপনের জন্য মাত্র দুই একর জমির অভারে দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্পটি ঝুলে রয়েছে। দ্রুত জমি পাওয়া না গেলে প্রকল্পটি ফেরত যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কক্সবাজারের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প হিসেবে কক্সবাজারে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে কক্সবাজারবাসী এবং পর্যটন শিল্পের জন্য অতি প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। নিজস্ব বার্ণ ইউনিট ব্যবস্থা, ২৭ তলা ভবন পর্যন্ত অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি, গাড়ীসহ দক্ষ জনবলও এতে সংযুক্ত থাকবে। মেরিন ড্রাইভ সড়কে সড়ক দূর্ঘটনায় দ্রুত উদ্ধার কর্মকান্ড পরিচালনা, সমুদ্র সৈকতের ঝুঁকিপূর্ণ পর্যটকদের উদ্ধারে থাকবে বিশেষ ইউনিট।
আধুনিক এ ষ্টেশনটিতে পর্যটকদের সুরক্ষার বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে দেখা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে শত শত বহুতল হোটেল মোটেল। রয়েছে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, আর্ন্তজাতিকমানের বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ার কারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগতো লেগেই থাকে। আর এসব দুর্যোগ ও আগুন জনিত বা অন্য যে কোন ধরনের দূর্ঘটনা হলে তা মোকাবেলা করা বর্তমান ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে কোন ভাবে সম্ভব নয়। কিন্তু বরাদ্দ হওয়া আধুনিক ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যার কারণে পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরাও দ্রুত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দাবী জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০১৫ সালে ৫ আগষ্ট গণপূর্ত অধিদপ্তর ৪ সদস্য বিশিষ্ট কক্সবাজার আধুনিক ফায়ার সার্ভিস যাচাই-বাছাই কমিটিকে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলে। ৪ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটি ওই বছরের ১৯ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের প্লটে একটি জায়গা নির্বাচন করে গণপুর্ত অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। কিন্তু এখনো কোন জবাব পাওয়া যায়নি। যার কারণে প্রকল্পটি থেমে আছে। জায়গা ফেলে যে কোন সময় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করব।’