অসংখ্য ভক্তের হৃদয়জুড়ে রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে অভিনয় শৈলীতে জিতে নিয়েছেন বেশ কয়েকটি পুরস্কার। বলিউডের নারী তারকাদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়দের একজন কঙ্গনা রানাউত। অথচ তার জন্মটাই নাকি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত! ‘অপ্রয়োজনীয় মেয়ে’ কথাটা শুনতে শুনতে বেড়ে উঠেছেন তিনি। শৈশবের এমন মারাত্মক স্মৃতির জানান দিলেন তারকা। ২৮ বছর বয়সী এই তারকার চোখে নারীরা হলেন স্বার্থহীন এক প্রাণী। বিশেষ করে ভারতীয় নারীরা তার সঙ্গীকে খুশি করতেই জীবনটা দিয়ে দেন।
কঙ্গনার একটা বোন রয়েছে। তার নাম রঙ্গোলি। তারকা বলেন, রঙ্গোলির জন্মের আগে তাদের একটা ভাইয়ের জন্ম হয়েছিল। সে জন্মের ১০ দিনের মাথায় মারা যান। ছেলে বলে তার মৃত্যু বাবা-মা মেনে নিতে পারেননি। তবে এ দুঃসহ যন্ত্রণার কিছুটা অবসান ঘটান রঙ্গোলি। তাকে নিয়ে দারুণ মেতে ওঠেন বাবা-মা।
কঙ্গনার ছোট একটি ভাই আছে যার নাম আকশাত। কঙ্গনা বলতে থাকেন, রঙ্গোলির পর আরেকটি মেয়ের (কঙ্গনা) জন্মে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে বাবা-মায়ের। তাই প্রথম মেয়ের পর আরেকটি মেয়েকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারেননি তারা। আর সেই বিষয়টি ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠা পায়। বাড়িতে মেহমান বা প্রতিবেশীরা আসলেই বাবা-মা কঙ্গনাকে দেখিয়ে বলতেন, এই মেয়েটা আমরা চাইনি।
বলিউডের পুরুষতান্ত্রিক ইন্ডাস্ট্রিতে ‘কুইন’ বা ‘তানু ওয়েডস মানু’র মতো ছবি করে ব্যাপক সফলতা লাভ কল্পনাতীত ব্যাপার। কিন্তু তাই করে দেখিয়েছেন কঙ্গনা। জীবনে এতদূর এগিয়েছেন। অথচ সব সময় মনে হতো, তিনি এমন এক মানুষ যার জন্ম কেউ মেনে নিতে পারেননি। কাজেই তার অস্তিত্বটা অর্থপূর্ণ হতে হবে।
শক্ত মনোভাব নিয়েই বড় হয়েছেন কঙ্গনা। কখনোই মেতে নিতে পারতেন না যে, ছেলেরা সব সময় মেয়েদের চেয়ে বেশি গুরুত্বর্পূণ হবে। তবে বেড়ে ওঠার সময়গুলো খুব যন্ত্রণায় কেটেছে, জানান তারকা। কারণ, নিজেকে যেখানে দেখতে চাননি সেখানেই যেতে হয়েছে চাপে পড়ে।
জানান, আমি কালকির একটি কথা পড়েছি, নারী হিসাবে আমরা অন্যান্য মানুষ ও পুরুষদের মতোই বোধ করি। আমাদের একই রক্ত-মাংস। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোও একই। পুরুষরা যেমন ভুল করে, সেই ভুল আমরা নিজেরাও করতে চাই।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস