বিশ্ববাজারে কাঁকড়ার চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। রপ্তানির তালিকায় উপরে উঠে যাচ্ছে ‘কাঁকড়া’। দেশের বাজারে কাঁকড়ার তেমন চাহিদা না থাকলেও বিদেশে চাহিদা এখন আকাশছোঁয়া। ফলে কাঁকড়া এখন দেশের অর্থনীতিতে সম্ভাবনার এক নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে, সুন্দরবনের আশপাশের এলাকার কয়েক লাখ মানুষের ভাগ্য বদলে দিচ্ছে।
জানা যায়, বিশ্বে বাংলাদেশের কাঁকড়া রপ্তানির বড় অংশ যায় চীনে। তার পর রয়েছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, জাপান, সিংগাপুর, কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, বার্মা এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশ মিলিয়ে মোট ১৮টি দেশে। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন গ্রেডের (সাইজের) নারী-পুরুষ কাঁকড়া বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ১৭ই জানুয়ারি ২০০ গ্রাম ওজনের (এফ-১) নারী কাকড়া প্রতি কেজির দাম ছিল ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ১৫০ গ্রাম (এফ-২) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ১০০ গ্রামের (এফ-৩) ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে পুরুষ কাঁকড়া ৫০০ গ্রামের (ডাবল এক্স এল) ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, ৪০০ গ্রামের (সিঙ্গেল এক্স এল) ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ৩০০ গ্রামের (এল) ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, ২০০ গ্রামের (এম) ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং ১০০ গ্রাম ওজনের (ডাবল এসএম) কেজি প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে প্রথম ১৯৭৭ সালে মাত্র ২ হাজার ডলারের কাঁকড়া রপ্তানি হয়েছিল। তার পর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে এসে দাঁড়ায় ২৯৭৩ টনে। ২০১১-১২ অর্থ বছরে তা বেড়ে দাড়ায় ৪৪১৬ টনে। আর ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে সেই রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৮৫২০ টনে। সর্বশেষ ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৭৭৬ মেট্রিক টনে।