জাতীয় পার্টির আগামী নেতৃত্ব কাউন্সিলের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশান-১ সার্কেলের ইমানুয়েলস মিলনায়তনে জাতীয় ছাত্র সমাজের ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খুব শিগগিরই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হবে জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভ্রান্তি নেই, কোনো বিভেদ নেই জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন।’
বেগম রওশন এরশাদ এমপি বলেন, ‘সরকারের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি চাকরির বয়স বাড়িয়ে ৩৫ বছর করতে হবে।’ ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সবাইকে লেখাপড়া করে যোগ্য মানুষ হতে হবে। মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করে অবদান রাখতে হবে দেশের রাজনীতিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় ছাত্র সমাজকে আরও শক্তিশালী করতেও সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।’ এছাড়া রাত জেগে অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহার না করতেও ছাত্র সমাজের প্রতি আহবান জানান বেগম রওশন এরশাদ। সবাইকে মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সিলেবাসের বাইরেও পড়াশোনা করতে ছাত্রদের প্রতি পরামর্শ দেন বেগম রওশন এরশাদ।’
জাতীয় ছাত্র সমাজের আহবায়ক মোড়ল জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় হুইপ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী, এম এ মান্নান, ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর শিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহাজাদা, সেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, ছাত্র সমাজের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ রিজভী, মাখন সরকার, মাহতাব হোসেন লিয়ন ও মোখলেসুর রহমানসহ অনেকে।