1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
কী করবেন এরশাদ - Daily Cox's Bazar News
সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

কী করবেন এরশাদ

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৬
  • ৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
arsad cartunবেশ ক’দিন ধরে দলের নিয়ন্ত্রণ শক্ত হাতে নিয়েছেন বলে দাবি করে আসছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দলে তার কথাই শেষ কথা বলে হুঙ্কারও দিয়েছেন। সপ্তাহ না শেষ হতেই হঠাৎ করে শনিবার এরশাদ বললেন, জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এটা প্রধানমন্ত্রী উপলব্ধি করবেন। তিনি নিশ্চয়ই বুঝবেন- জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে হলে মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এরশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে মন্ত্রীদের বেরিয়ে আসার বিষয়টি। আমরা দেখি উনি (প্রধানমন্ত্রী) কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেন। মাত্র এক সপ্তাহ না পেরোতেই দলীয় প্রধানের এমন বক্তব্যে তোলপাড় রাজনৈতিক মহলে। অনেকের প্রশ্ন- তাহলে এরশাদ এখন কী করবেন? দল কী তার নিয়ন্ত্রণে, নাকি সরকারের নিয়ন্ত্রণে?

এদিকে বিকালে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ হঠাৎ করে মুখ খুললেন। তার পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, জাতীয় পার্টি সংসদীয় গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। এমন একটি সুপ্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠক ছাড়াই পার্টির গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে যে পরিবর্তন করা হয়েছে তা অগণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দলের নীতিসিদ্ধ নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এরশাদের ঘনিষ্ঠ এক প্রেসিডিয়াম সদস্য আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এ মুহূর্তে সরকারের জন্য বিব্রতকর কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চান না দলটির চেয়ারম্যান এরশাদ। তার মতে, সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই সুবিধামতো সিদ্ধান্ত নিতে চান তিনি। জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে সরকার থেকে বের হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তিনি উপস্থাপন করবেন।

এ সময়ে তিনি আরও বলেন, স্যার এখন চান মূলত দল গোছাতে। সারা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন শক্তিশালীকরণে মনোনিবেশ করাই এখন তার মুখ্য উদ্দেশ্য। এজন্য যেখানে যা প্রয়োজন সেটাই করবেন তিনি। দল রক্ষা করতে হলে প্রয়োজনে সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নিজে এবং তার দলের মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়টির কথা ভাবছেন। রওশনের বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে আমাদের দল নিয়ন্ত্রিত। সরকার যেভাবে চালায় সেভাবে চলে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অনেকটা নতজানু হয়ে থাকা এরশাদ আচমকা সাহসী হয়ে উঠে দুটি সিদ্ধান্ত নিলেন। ভাই জি এম কাদেরকে নিজের উত্তরসূরি ঘোষণার সঙ্গে দলের মহাসচিব পদে পরিবর্তন আনলেন। তার এ হঠাৎ সিদ্ধান্তে প্রথমে নড়েচড়ে বসেছিলেন দলীয় পরিচয়ে মন্ত্রী-এমপি হওয়া নেতারা। কিন্তু এরশাদের দৃঢ়তায় তারা শেষতক এরশাদের প্রতিই আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। পরে রওশন প্রকাশ্যে বিবৃতি দেয়ায় এরশাদের সিদ্ধান্তে নতুন করে গুমট সৃষ্টি হয়েছে দলটিতে। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- আসলে এরশাদ এখন কী করতে চাইছেন। নতুন প্রেক্ষাপটে কী অবস্থান হবে জাতীয় পার্টির। এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন দলের নেতাকর্মীরাও। কিন্তু এর এক সপ্তাহ না পেরোতেই দলের মধ্যে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকার বিষয়টি ফুটে উঠেছে এরশাদের বক্তব্যে। শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে এক অনির্ধারিত সভায় এরশাদ বলেন, আমার দলের মন্ত্রীরা আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় আছেন। চাইলেই হুট করে সরে আসা যায় না। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী আমাকে সম্মান করে বিশেষ দূতের পদটি দিয়েছেন। আমি কি উনার সঙ্গে কথা না বলে এই পদ ছেড়ে দিতে পারি? জোরজবরদস্তি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না, যা করতে হবে আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বিএনপির অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে। আগামীতে আমরা ছাড়া কোনো বিরোধী দল নেই। আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রয়োজনে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করবে। সরকারের পক্ষে আমাদের ছাড়া নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আগামী নির্বাচনের প্রয়োজনেই তারা জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করবে।

এরশাদ বলেন, আমরা কখনই বলব না মধ্যবর্তী নির্বাচন হোক। আমরা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করব। এ ৩ বছরে আমাদের সাংগঠনিক অবস্থান শক্ত করতে হবে। নিজ দলের সমালোচনা করে সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতীয় পার্টির রাজনীতি পরিষ্কার নয়। আমাদের রাজনীতি পরিষ্কার করতে হবে। আমাদের এমপিরা সরকারের এত প্রশংসা করেন যে, উনারাই (সরকার) লজ্জা পান। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের একতা অনেক বেশি প্রয়োজন। আমাদের একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এটা ঠিক আমরা আওয়ামী লীগের মতো শক্তিশালী নই। তাদের অর্থ ও সংগঠন অনেক বেশি মজবুত। আমাদের সেটা নেই। তবুও আমরা যদি নির্বাচন করি দল একটা ভালো জায়গায় যাবে। হয়তো আমরা ক্ষমতায় যেতে পারব না। কিন্তু আমাদের একটা অবস্থান তৈরি হবে। তবুও আমি চেষ্টা করব দলকে ক্ষমতায় নিয়ে যেতে। এজন্য আমাদের রাজনীতি ঠিক করতে হবে। এরশাদ বলেন, কুয়াশা কেটে সূর্য উঠবেই। আমাদের আর জয় বাংলা সেস্নাগান দিতে হবে না। আমরা আমাদের ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ সেস্নাগানই দেব।

জিয়াউদ্দিন বাবলুর বিষয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছরের মহাসচিব হাওলাদারকে সরিয়ে বাবলুকে দায়িত্ব দিয়েছি। সে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। সমাবেশে ১০ লাখ মানুষ আনবে বলে ১০ হাজারও আনতে পারেননি। অথচ হাওলাদার ৭৫ হাজার লোক জড়ো করেছিলেন এক সমাবেশে। এ সময় জি এম কাদের প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, আমি তাকে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় পাঠিয়েছি। দেখলাম- মানুষ আমার চেয়ে তাকে বেশি গ্রহণ করেছে। আমি না থাকলে সে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আমি আমার ছোট ভাইকে নিয়ে গর্ব করি। অনির্ধারিত বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ মান্নান, গোলাম হাবীব দুলাল, গোলাম কিবরিয়া টিপু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, এস এম ফয়সাল চিশতি, জাতীয় মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হোসেন মৌসুমী, সহ-সভাপতি শাহাজাদী নাহিনা নুর, বিরোধী দলের হুইপ শওকত চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোঃ নোমান মিয়া, নুরুল ইসলাম তালুকদার, রত্না হাওলাদার প্রমুখ।

বৈঠক শেষে দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরশাদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার বিশেষ দূত করে আমাকে সম্মানিত করেছেন। তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে এই পদ ছেড়ে দিয়ে তাকে অসম্মানিত করতে পারি না। অবশ্যই এ বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করা হলে সংসদ আরও কার্যকর হবে এবং সরকারও লাভবান হবে। জাতীয় পার্টির রাজনীতিকে জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে হবে।

এরশাদ বলেন, দলের প্রয়োজনেই আমি কো-চেয়ারম্যান নিয়োগ এবং মহাসচিব পদে পরিবর্তন এনেছি। এ পরিবর্তনে সারা দেশে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। দল আবার জেগে উঠেছে। আমরা পার্টিকে এবার আরও সুসংগঠিত করতে পারব। আমরা অবশ্যই এ সংসদের বিরোধী দল। আশা করি, আমাদের এমপিরা সংসদে এমন কোনো বক্তব্য রাখবেন না যাতে করে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।

এদিকে শনিবার জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, জাতীয় পার্টি রাজনৈতিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত একটি দল। এ পার্টি সংসদীয় গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে, জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হিসেবে সোচ্চার ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। এমন একটি সুপ্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান হিসেবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপি, পার্লামেন্টারি পার্টি এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য সভার আলোচনা ছাড়াই কো-চেয়ারম্যান অর্থাৎ ভবিষ্যৎ পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পদসহ পার্টির গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে পরিবর্তন করেছেন, যা রাজনৈতিক দলের নীতিসিদ্ধ নয় ও অগণতান্ত্রিক। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়ে পার্টি ও জনমনে যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে সেটি সঠিক নয়। কারণ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়ে যৌথসভায় এ ধরনের কোনো আলোচনা হয়নি। বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা সম্প্রতি জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিয়ে যে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেন। এ বিবৃতি প্রকাশের পর এরশাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন কিনা। উত্তরে তিনি বলেন, আমি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করব না।

এদিকে এরশাদকে তার সিদ্ধান্ত থেকে সরিয়ে আনতে এখনও দৌড়ঝাঁপ অব্যাহত রেখেছেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও সদ্য বিদায়ী মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। জাতীয় পার্টি সূত্র বলছে, সরকারকে তারা বিভিন্নভাবে বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছেন। দলীয় সূত্র বলছে, দলে নয়া মেরুকরণে এ তিন নেতার গুরুত্ব কমে যাবে বলে নেতাকর্মীরা মনে করছেন। এতে পরবর্তী দলীয় রাজনীতিতে তাদের অবস্থান কী হবে এটিও এখন প্রশ্নের মুখে।

রোববার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রংপুর সফরে থাকা অবস্থায় সংবাদ সম্মেলন করে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ছোট ভাই জি এম কাদেরকে তার পরবর্তী উত্তরসূরি ঘোষণা করে তাকে কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়ার কথা জানান। এরপর দলের কিছু নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার ঘোষণা দেন। পরের দিন ঢাকায় ফিরে এরশাদ জিয়াউদ্দিন বাবলুকে সরিয়ে দলের মহাসচিব হিসেবে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে নিয়োগ দেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে হঠাৎ এ পরিবর্তনের মাধ্যমে এরশাদ কার্যত নিজের হাতে দলের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বলে দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications