কুতুবদিয়ায় সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বাল্য বিয়ে ঠেকাতে গেলে বিয়ের মন্ডপ থেকে বর-কনে উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বরের পিতা সহ কয়েক জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্র জানায়,উপজেলার বড়ঘোপ নয়া পাড়া গ্রামের বাবুল চন্দ্র দাসের সবে মাত্র ৮ম শ্রেণিতে ওঠা কন্যা প্রিয়া রানী দাস ও উত্তর ধুরুং প্রদীপ পাড়ার সুকুমার দাসের পুত্র বিজয় চন্দ্র দাসের সাথে গত শুক্রবার (২৯ জানুয়ারী) বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল কনের বাড়িতে। হিন্দু নিকাহ রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক সমীর দাস বলেন, এ বাল্য বিয়ের নিবন্ধন করাতে তার কাছে গেলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করায় তারা বিমুখ হয়ে ফিরে গেলে তিনি পুলিশকে বাল্য বিয়ের বিষয়টি জানান।বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ কনের বাড়িতে গিয়ে বিয়েটি বন্ধ রাখার নিদের্শ দিয়ে আসেন।
তবে বর পক্ষের বাবুল দাস, ললিত বরণ দাস,বাবুল চন্দ্র দাস, কনে পক্ষের শীতল দাস,সুকুমার দাস সহ কয়েক কর্তা ব্যক্তির পরামর্শে পুলিশের আদেশ উপেক্ষা করে সন্ধা ৭টার দিকে বরপক্ষ কনেকে নিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানায়।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বাল্য বিয়েটি ঠেকাতে সচেতন হিন্দু ব্যক্তিত্বরা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা, পুলিশ সহ বিভিন্ন দপ্তরে অবহিত করে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাহি কর্মকর্তা সালেহীন তানভীর গাজী‘র নির্দেশে পুলিশ বরের বাড়িতে হানা দেয়। তবে এতক্ষণে বর-কনে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় বিয়ের মন্ডপ থেকে। থানার এস.আই মো.শাহজাহান বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের বাল্য বিয়েটি ঠেকানো গেছে। তবে বর-কনে পালিয়েছে। তাদের হাজির করতে বরের পিতা,ভাই ভগ্নিপতি সহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বর-কনেকে হাজির করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য,কনে প্রিয়া রানী দাস কুতুবদিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সবেমাত্র ৮ম শ্রেণিতে উঠেছে এবং “স্বরসতী“ নামে জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করে এই বাল্য বিয়ের চেষ্টা করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বর-কনের সন্ধান মেলেনি।