ফাইল ছবি
(প্রিয়.কম) সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। একইসঙ্গে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সবসময় বাংলাদেশকে সমর্থন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের উদ্দেশে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে দেশের অবস্থানের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের শিকড় খুঁজে বের করবে। নিরাপত্তাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কূটনীতিকদের কেউই আলোচনার বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে ব্রিফিংয়ের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ব্রিফিংয়ের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদকে একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্যান্য দেশ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন।
গুলশান হামলার ঘটনায় বিভিন্ন দেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন ও বিবৃতি দিয়ে সমবেদনা জানায়। এজন্য তাদেরকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান, ইতালি, ভারত, পাকিস্তানসহ অর্ধশত দেশের কূটনীতিক ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
গত শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে জীবিত এবং ২০ মৃতদেহ উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। অভিযানের সময় ৬ হামলাকারী নিহত হন এবং একজনকে আটক করা হয়। নিহত ২০ জনের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি, একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান, নয়জন ইতালি, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতীয়।