ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক :
জঙ্গি খালেদ সাইফুল্লাহর কাছে পাওয়া মোবাইলে জেএমবির পরবর্তী টার্গেট ক্যাটাগরি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই গ্রুপের টার্গেট ছিলো সংখ্যালঘু, পুলিশ ও পীর, মাজারের খাদেম।’
১ জুলাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিদের ধারণা, হিন্দুদের হত্যা করলে সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ হবে ভারত। আর বৌদ্ধ-খ্রিস্টান খুন করলে আমেরিকা ও জাপান ক্ষুব্ধ হবে। আর এতে সরকার উৎখাত করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম তাদের জন্য সহজ হবে। তাই জঙ্গিরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যা করছে। এসব হত্যার মাধ্যমে সরকারকে বিপদে ফেলতে চায়।
গত ১৫ জুন মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক রিপন চক্রবর্তী হত্যাচেষ্টায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া খালেদ সাইফুল্লাকে নিয়ে ডিএমপি এ সংবাদ সম্মেলন করে। তাকে শিক্ষক হত্যাচেষ্টার মুল পরিকল্পনাকারী এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জামা’তুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে দাবি করছে পুলিশ।
মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে খালেদ সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এসময় তার হেফাজত থেকে দুটি মোবাইল ফোন জব্দ হয়। ওই মোবাইল ফোন থেকে শিক্ষক হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনাসহ জেএমবির পরবর্তি টার্গেটের অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘খালেদ সাইফুল্লাহর কাছে পাওয়া মোবাইলে জেএমবির পরবর্তী টার্গেট ক্যাটাগরি পাওয়া গেছে। এই গ্রুপের টার্গেট ছিলো সংখ্যালঘু, পুলিশ ও পীর, মাজারের খাদেম।’
মনিরুল ইসলাম বলেন ‘টার্গেট বাস্তবায়নে এরই মধ্যে খালেদ সাইফুল্লাহ ৪৯ জনের একটি সুসংগঠিত গ্রুপ তৈরি করেছেন। এরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তারা জেএমবি মতাদর্শে বিশ্বাসী’
শিক্ষক হত্যাচেষ্টা প্রসঙ্গে মনিরুল ইসলাম জানান, খালেদ সাইফুল্লার বাবা কাজী বেলায়েত হোসেন মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। কিছুদিন আগে তিনি অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যায় রিপন চক্রবর্তী। তখনই রিপন চক্রবর্তীকে টার্গেট করেন খালেদ সাইফুল্লাহ।