এম.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,ডেইলি কক্সবাজার প্রতিবেদন :
রাস্তায় তো বটে; শপিংমল কিংবা বিপনী বিতান কোথাও পা ফেলার ফুসরত নেই। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে কক্সবাজার পযটন নগরী তত ব্যস্ত হয়ে উঠছে। রাত আড়াইটা পর্যন্ত রাস্তায় যানজট, সবার হয়তো বিশ্বাস নাও হতে পারে!
২০ রমজান থেকে কক্সবাজার শহরে রাতের ব্যস্ততা বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রথম দিকে খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু, এখন মনে হচ্ছে পুষাতে পারবো। যদি পুরো রমজানজুড়ে বৃষ্টি না হয়।
বাজারঘাটা কোরালরিফ প্লাজার এক ব্যবসায়ী বলেন, শুক্রবার সারাদিন একটু বৃষ্টি বেশি ছিল। বৃষ্টি হলে মানুষ চলাচল করতে পারে না। যদিও গরমে কিছুটা কষ্ট হয়, তবু মানুষ ঘুরতে পারে দোকানে দোকানে যেতে পারে। তাই, বৃষ্টি যেনো না হয় সেই প্রত্যাশা করছি।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর কেনাবেচা বেশ জমেছিল, কিন্তু শুক্রবার দিনে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ক্রেতারা বাসাবাড়িতে চলে যায়। আমাদের আশায় গুঁড়েবালি হয়।
তবে শুক্রবার ২৪ রমজান সন্ধ্যার পরপরই পাল্টে যায় পুরো শহরের দৃশ্য। সবাই লুপে নিচ্ছে পছন্দসই জামা কাপড় জুতা সেন্ডেল সহ সব ধরনের পণ্য।
শেষ সময়ে রাতের বেলা রাস্তায় মানুষের যেমন ভীড়, যানজটও প্রচন্ড। ট্রাফিক পুলিশ রাতে দায়িত্ব পালন করলে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। দিনের তুলনায় ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা ও সক্রিয়তা কম।
রাত পৌনে ১২টায় নগরীর ভোলাবাবুর পেট্রোল পাম্প পয়েন্ট থেকে বাজারঘাটা বৌদ্ধ মন্দির রোড পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট
আর ক্রেতারা রাস্তায় জ্যামের মধ্যে সময় ফুরিয়ে যাওয়ায় মার্কেটে গিয়ে বেশি সময় পান না বলে জানিয়েছেন অনেকে।
তারা বলছেন, গ্রামাঞ্চল থেকে এসে শহরে প্রবেশ করতে কিংবা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যেতে সময় কেটে যায়। দিনের বেলা কেনাকাটায় এলে একদিকে কড়া রোদ, অন্যদিকে যানজটে আটকা পড়ে রাত পর্যন্ত গড়ায়। হাতে সময় বেশি থাকে না, তাই দ্রুত ফিরতে হয়। এতে ভাল-মন্দ বিচার করে কাপড় কেনার সুযোগ মিলে না।
পযটন নগরী কক্সবাজারে ঈদ বাজার জমে উঠলেও কোথাও কোথাও ক্রেতাদের উপস্থিতি এখনও কিছুটা কম।
পান বাজার সড়কের ফিরোজা শপিং সেন্টারের একটি কমমেটিকস এর দোকানে ক্রেতাদের ভিড়
কলেজ ছাত্র ঈমন জানিয়েছেন, দিনের বেলা শহরে এসেছেন। ইচ্ছে ছিল সন্ধ্যার আগে গ্রামে ফিরবেন। কিন্তু, পরিবারের সবার জন্য বাজার করতে গিয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত গড়িয়েছে। ফ্যাশন হাউস থেকে কাপড় না কিনলে হয়তো এই সময়ে কাভার হতো না।
জুতার দোকানে ক্রেতাদের ভিড়
শহরের পানবাজার জুতার দোকানগুলোতে লক্ষ্য করা গেলো ক্রেতাদের ভিড়। নারী পুরুষ ও শিশু সব বয়সের ক্রেতার জুতার মাকেটে ভিড় জমাতে দেখা গেছে।
এভাবে প্রতিদিন কেনাবেচা হলে এবার অন্য বছরের তুলনায় ভাল ব্যবসা হবে বলে আশা করছেন পানবাজার রোড়ের বাটা মার্কেটের জুতা দোকানী কামাল। ৮জন কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়মিত ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানান তিনি। রাত ৩টার আগে আজ বাসায় ফিরার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি। হয়তো, দোকানেই সেহরি খেতে হবে তাদের।