মহেশখালীতে গ্যাস লাইন স্থাপনে সাময়িক অধিগ্রহনকৃত জমি নিয়ে মালিকদের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রশাসন সুত্রে জমির অধিগ্রহন সাময়িক ভাবে হচ্ছে তা নিশ্চিত করা হলেও স্থানীয় একটি মহল অপ-প্রচার চালানোর কারণে এমনটি হচ্ছে বলে জানালেন অধিকাংশ জমির মালিক।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় মহেশখালী গ্যাস লাইন স্থাপন অনেকটা শেষ হওয়ার পথে। গ্যাস লাইন সম্প্রসারণে যাদের জমি পড়েছে তাদের ক্ষতিপুরণের টাকা দেওয়াও ইতোমধ্যে শেষ হওয়ার পথে। নিচে গ্যাস লাইন বসানোর পর পুনরায় ভোগ দখলে আছেন জমির মালিকরা। এ ছাড়াও ফসলে ক্ষতিপুরণও দিচ্ছেন সরকার। তবে ইতোমধ্যে গ্যাস লাইন সংক্রান্ত কার্যক্রমের জন্য অন্তত দুই বছরের জন্য কিছু জমি অধিগ্রহন করা হচ্ছে উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ দেওয়ার মাধ্যমে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জমির মালিকরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ সিরাজুল মোস্তফার নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করলে জেলা প্রশাসক জমির মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারণ নেই। জমিগুলো সাময়িক ভাবে অধিগ্রহন করা হচ্ছে। অন্তত দুই বছরের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপুরণ দিয়ে জমিগুলো ব্যবহার করবে কর্তৃপক্ষ। এরপর আরো কিছু সময় প্রয়োজন হলে তাও একই ভাবে ক্ষতিপুরণ দিয়েই ব্যবহার করা হবে। তিনি আরো বলেন এটি শুধু জমি দেওয়া নয়, দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করা। কারো ক্ষতি হউক এমন কোন কাজ সরকার করবে না। আপনাদের চাওয়া পাওয়া পুরণ করে আপনাদেরই সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবে সরকার।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ সিরাজুল মোস্তফা জমির মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের পাশেই আছে। কোন ভাবেই আপনাদের ক্ষতি হউক এমন কাজ তিনি করবে না। যা অধিগ্রহন করা হচ্ছে এটি সাময়িক, স্থায়ী ভাবে নয়। তাই আপনারা উদ্বীগ্ন হবেন না।
এদিকে জমিগুলো স্থায়ীভাবে অধিগ্রহন করা হচ্ছে এমন অপ-প্রচার চালাচ্ছে স্থানীয় একটি মহল। যারা সরকারের মেঘা প্রকল্পের বিরুদ্ধে এতদিন প্রচারণা চালিয়েছে মূলত তারাই এই অপ-প্রচার চালাচ্ছে। আর জমি ফেরত দেবে না এমন প্রচারণার কারণে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
জমির মালিক রশিদ আহমদ আমিন জানিয়েছেন, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ সিরাজুল মোস্তফার নেতৃত্বে জমির মালিকরা ঐক্যবদ্ধ। তারাই বলেছেন জমিগুলো সাময়িকভাবে অধিগ্রহন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নেতৃবৃন্দের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাই বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারীরা অবিলম্বে বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হবে।
জমির মালিক সৈয়দ আহমদ জানিয়েছেন, আমরা সাময়িক ভাবে জমি দিতে প্রস্তুত আছি। ইতোমধ্যে যথাযত ক্ষতিপুরণ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক। আমরা চাই সরকারের উন্নয়নমুলক কাজে সহযোগীতা করা।