1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
ঘুমধুমের মাদক ব্যবসাকে ঘিরে সহিংস ঘটনা বাড়ছে ইয়াবার আস্তানায় প্রশাসনের নজরদারী নেই - Daily Cox's Bazar News
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

ঘুমধুমের মাদক ব্যবসাকে ঘিরে সহিংস ঘটনা বাড়ছে ইয়াবার আস্তানায় প্রশাসনের নজরদারী নেই

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬
  • ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

ukhia-coxsbazar-map-dcশ.ম.গফুর, উখিয়া :  উখিয়ার পার্শ্ববর্তী সীমান্ত জনপদ ঘুমধুম এখন নিরাপদ মাদক জোনে পরিনত হয়েছে।প্রতিরোধে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কার্যকর কোন বিধি নিষেধ নেই বললেই চলে।প্রশাসনিক কোন হস্তক্ষেপ না  থাকায় মাদক কারবারীরা দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।আর মাদক ব্যবসার ফলে সহিংসতার ঘটনাও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।ঘুমধুমের মাদক সেবন ও পাইকারি ব্যবসা এবং ব্যবসায়ীদের মিলন মেলা হচ্ছে মাইক আমিনের ডেরা। যেখানে ওপেন সিক্রেট মাদকের আসর বসিয়ে দিব্যি বিকিকিনি চললেও প্রশাসনের তরফ থেকে প্রতিরোধে কোন আচঁড় লাগেনি।সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা মাদক প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তাদের কতিপয় সদস্য মাদকের আস্তানায় নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে। ফলে স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ভুমিকা নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।মুদ্দকথা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাড়িয়েছে। ঘুমধুমের প্রথম মাদক বিস্তার ঘটান নোয়াপাড়ার মৃত বাঁড়া সুলতানের পুত্র মাদক বিস্তারের মহাজন বহু অপকর্মের হোতা নুরুল আমিন ওরপে ওলাইয়া।সে ক্ষুদ্র মাইক মেকারের দোকানের আড়াঁলে ঘুমধুমে মাদক ব্যবসায় জড়ান। পরবর্তী ইয়াবা বিস্তারে নেমে আশাতীত সফলতা পাওয়ায় দোকান থেকে ব্যবসা বৃদ্ধি করে বর্তমানে ইয়াবার পাইকারি ও খুচরো বিক্রির নিয়মিত হাট বসে নিজ বাড়ীতে আর মাদক বিক্রি ও সেবনে প্রতেক্ষ্য সহযোগিতা হিসেবে কাজ করছে স্ত্রী ফাতেমা বেগম মান্না।সার্বজনীনভাবে খুচরো আর পাইকারী বিক্রির একক আধিপত্য চালাচ্ছে মাইক আমিন।মিয়ানমার গাঁ ঘেষে বসত বাড়ি হওয়ায় মাইক আমিনের ইয়াবা আস্তানা খুচরো সেবী আর পাইকারদের নিরাপদ আখঁড়ায় পরিনত হয়েছে।বাবা সুলতান আহমদ প্রকাশ বাড়াঁ সুলতান ছিল মাটির মানুষ।পেশায় জেলে।বাবার বখে যাওয়া ছেলে ছিল আমিন।ছাত্রজীবনে মাদরাসায় পড়াকালীন সময়ে কোন রকম ৫ম শ্রেণী পার।মাঝ পথে পড়ালেখা থেকে ছিটকে পড়ে বাড়ীর পার্শবতী ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন চিংড়ি ঘের থেকে মাছ চুরির নেশায় জড়ান। পরবর্তী মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়ায়  আপন খালার পরিবারের চোরাচালানী খালাতো ভাইদের মাধ্যমে চোরাই ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়।  মিয়ানমারের খালাতো ভাইদের পাঠানো চোরাই পণ্যের চালান সীমান্ত পয়েন্ট অতিক্রম করে ঘুমধুম  নোয়াপাড়ার নিজ বাড়ীতে মজুদ পরবর্তী ঘোনারপাড়ার জহির আহমদ ড্রাইভারের বাড়ীতে রেখে সরবরাহ দিতো।এদেশীয় আরেক পার্টনারের বড় ভাইয়ের হবু স্ত্রী মান্নার দেবর মাইক আমিনকে বেধড়ক মারধর করলে আবেগী প্রেমিকা পুর্বের প্রেমিক বালুখালীর নুরুল আলমের সাথে সমপর্ক্ ছেদ করে মাইক আমিনকে বিয়ে ২য় প্রেমের সীকৃতি প্রমান করে।বিয়ের পর সামী স্ত্রীর চোরাই ব্যবসার উত্থান পুরো দস্তুর বিস্তার ঘটান।জীবিকার তাগিদে সৌদি প্রবাসী মিয়ানমারের আত্মীয়দের পাঠানো দান খয়রাত ও ফিৎরা যাকাতের টাকায় মাত্র. ২০ হাজার টাকার শেয়ারী মুলধনে (অংশীদার আহমদুর রহমানের মুলধন আমিনের শ্রম পুঁজি) মাইক ভাড়া আর ইলেকট্রনিক খুচরা যন্ত্রাংশের দোকান দিলেও সংসারের ঘানি টানতে চরম হিমশিম খাচ্ছিলো।পোষাতে না পেরে আহমদুর রহমান কিস্তিতে আমিনকে শেয়ার বিক্রি করে দেন।একক দোকান চালিয়েও কুলিয়ে উঠতে পারতনা।গত বছর দুয়েক আগে বালুখালীর একটি মাদক সিন্ডিকেটের পরামর্শে মাদক ব্যবসায়   সম্পৃক্ত হয়ে মাইকের দোকানের আড়ালে ফেনসিডিল থেকে শুরু করে হরেক রকম মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে নিজের কৃতকর্মের নাম লিখিয়ে পেছনে তাকাতে হয়নি।পাইকারি আর খুচরা মাদকের ব্যবসায় আশাতীত সফলতা পান।আসল ইয়াবা, মিয়ানমারে আছে নিকটতম আত্মীয়।সব মিলিয়ে ইয়াবা বিস্তারে ঘুমধুমে প্রথম সেবাদানকারী পরিবার হিসেবে পাইকারি, খুচরা আর সেবনকারীদের বিশস্থ প্রতিষ্ঠানের কুখ্যাতি অর্জন।বর্তমানে এলাকা ছাড়িয়ে অন্য প্রান্তেও সরবরাহ দিয়ে আংগুল ফুলে কলা গাছ বনে যান মাইক আমিন।গাড়ী,বাড়ি, স্ত্রী ছাড়াও একাধিক নারীর সংগ বিলাস নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।বিলাসী জীবন যাপন, পুলিশ সহ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় মেহমান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের টুপাইস হাদিয়ার মাধ্যম্যে বীরদর্পে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে সর্বোচ্চ ৬ কেজি চাল আর ৫ টাকার কেরোছিন কেনতে যার দুরুহ ব্যাপার ছিল সে আজ লাখ লাখ টাকা গুণছে।বস্তা বস্তা ইয়াবা, গাঁজা. ফেনসিডিল.বিয়ারা, কান্ট্রি ড্রাইজিন  নামক তরল মাদকের জোয়ারে ভাসিয়ে কাউকে পরোয়া করছেনা।বেপরোয়া হয়ে যে কাউকেই হেনস্তা করতে হাত কাপেঁনা মাইক আমিনের।পুরো ঘুমধুমের কালো জগতের প্রায়ই তার আস্তানায় হাজির, সেবন. সরবরাহের বুদ্ধি কৌশলে একজন ইয়াবার মহাজনের ভুমিকায় আলোচিত।মাইক আমিনের ইয়াবা ডেরায় রানাঘর সহ ৩টি আলাদা কক্ষে দিবারাত্রি আড্ডা আর নানা জায়গা থেকে গমন করা ব্যক্তিদের রুদ্ধদার বৈঠক চলে।স্থানীয় বিজিবির টহল দল গেলেও গতিবিধি লক্ষ্য করে অঘটন ঘটার আগাম সংকেত জানিয়ে দিতে রয়েছে সুবিধাভোগী লোকজন।তার ইয়াবা আস্তানা সমপর্কে সকলের জ্ঞাত থাকা সত্তেও চক্ষু লজ্জায় প্রতিবাদ না করলেও সামপ্রতিক সময়ে স্থানীয় সিরতে মাহফিল থেকে উচ্ছেদের কানাঘোষা ওঠ।পাড়ালিয়ারা মাইক আমিন সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী অনৈতিক কর্মকাণ্ড সমপর্কে জানলেও প্রতিবাদের টু শব্দ করার সাহস কারো নেই। কারণ তার আম্বরখানায় সরকারি সংস্থার কতিপয় লোক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণীর প্রভাবশালী খদ্দেরদের আনাগোনা থাকায় ভয়ে তটস্থ থাকে।স্থানীয় অধিবাসীদের অভিযোগ চক্ষু লজ্জায় কিছু না বললেও মাইক আমিনের বাড়িঘরে অচেনা অজ্ঞাত লোকজনের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় পারিবারিক ও সামাজিক বিরুপ প্রভাব পড়ছে। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রহস্যজনক ভুমিকা নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঘুমধুম ইউপির কমিউনিটিং পুলিশের উপদেষ্টা ও প্যানেল চেয়ারম্যান কামালউদ্দিন বলেন মাদকের ব্যবসা যেই করুক না কেন মাদকের শিখর নির্মুলে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে প্রতিরোধ করতে সকলের যে যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসা উচিৎ।মাদক আর অন্যায় অত্যাচার ও চাঁদাবাজি ও জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি.তাই আজকে মিথ্যা মামলা হামলার শিকার হয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার পরিজন নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছি।     ঘুমধুম ইউপির চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন পরিষদের মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমন্বয় সভায় চোরাচালান ও ইয়াবাসহ মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা কঠিন ব্যাপার। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট ঘুমধুমের মাদক আস্থানা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বলা হলেও পুলিশের ভুমিকা রহস্যজনক। সঠিক তথ্যের ও সোর্সের অভাবে মাদক নির্মুলে সুফল পাচ্ছেনা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন। সবচেয়ে দূ:খ্যজনক হলেও সত্য যে খুচরো বিক্রি এবং সহজলভ্য হওয়াতে একেবারে নিমুল না হলেও পারিবারিক এবং সামাজিক ভাবে সকলের সচেতন হওয়া উচিৎ বলে মনে করি।তাই ঘুমধুম বাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী মাইক আমিনের ইয়াবা ও মাদক আস্তানা উচ্ছেদে কার্যকার পদক্ষেপ গ্রহণে স্থানীয় বিজিবি পুলিশ সহ সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications