1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
ঘুমধুম-দোহাজারী রেল প্রকল্প : ভূমি অধিগ্রহণই শুরু হয়নি - Daily Cox's Bazar News
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

ঘুমধুম-দোহাজারী রেল প্রকল্প : ভূমি অধিগ্রহণই শুরু হয়নি

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬
  • ২৩৯ বার পড়া হয়েছে

trin-real-coxsbazarদোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে রেলওয়ের অসম্পূর্ণ প্রস্তাবের কারণে ভূমি অধিগ্রহণের কাজই শুরু করতে পারেনি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

ফলে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারের এই প্রকল্পটি নিয়ে পাঁচ বছর নিরব থাকার পর এটি বাস্তবায়নে তোড়জোট শুরু হলেও নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

তবে এ ধরনের বড় প্রকল্পে কিছু ভুল হতেই পারে, এমনটা মনে করছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ প্রকল্পের কাজের শুরুতে কিছু ভুল হতেই পারে। একবারে শতভাগ পারফেক্ট করা যাবে না।

জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ভূমি অধিগ্রহণ করার জন্য রেলের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেখানে অনেক ভুল রয়ে গেছে। ভুল সংশোধন করে নতুন প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। ভুল সংশোধনে জেলা প্রশাসন সহযোগিতা করছে। ফলে এখনো ভূমি অধিগ্রহণের কাজই শুরু করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। অসম্পূর্ণ প্রস্তাবের কারণে অন্তত ছয়মাস পিছিয়ে যাবে প্রকল্প শুরুর কাজ।

প্রকল্পটির ভূমি অধিগ্রহণের জন্য এরই মধ্যে রেল কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে ৩১২ কোটি ১৩ লাখ টাকা দিয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, ভূমি অধিগ্রহণের জন্য কি পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হবে তার চূড়ান্ত হিসেব দেয়নি। কারণ জমির পরিমাণ নির্ধারণ হয়নি এখনো। এছাড়া জমির দামও বেড়েছে বহুগুণ।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো.দৌলতুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটি প্রস্তাবই হয়নি। অসংখ্য ভুলে ভরা। ভুল সংশোধন করে নতুনভাবে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব দিতে বলেছি। ভুল সংশোধনে জেলা প্রশাসন সহযোগিতা করছে।

অসম্পূর্ণপ্রস্তাবে৬মাসপিছিয়ে:

এদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, জমি অধিগ্রহণ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ভূমি অধিগ্রহণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ৩, ৬ ও ৭ ধারা অনুসরণ করে অধিগ্রহণ করতে হয়। এজন্য অন্তত ৬ মাস সময়ের প্রয়োজন। অসম্পূর্ণ প্রস্তাবের কারণে প্রকল্পের কাজ অন্তত ৬ মাস পিছিয়ে যাবে।

তারা বলছে, ভূমি অধিগ্রহণের কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে জরিপ কাজ চালিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ফলে অসংখ্য ভুল রয়ে গেছে। নকশায় ঘরবাড়ি, গাছ-পালা, পুকুর, কবরস্থান বা বড় স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়নি। এছাড়া ভুল দাগ নম্বর দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব আসার পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট শাখা সম্ভাব্যতা যাচাই করে। প্রস্তাবিত ভূমিতে মসজিদ, মন্দির, স্কুল বা অন্য কোন বড় স্থাপনা থাকলে তা বাদ দিয়ে অধিগ্রহণের চেষ্টা করা হয়। এরপর ভূমি বরাদ্দ কমিটির অনুমোদনের পর জমির মালিকদের ভূমি অধিগ্রহণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ৩ ধারা (আপত্তি থাকলে ১৫ দিনের মধ্যে মালিককে জানাতে হয়) নোটিশ জারি করে জেলা প্রশাসন। ১৫ দিন পরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মালিক পক্ষের যৌক্তিক কারণ থাকলে প্রস্তাব থেকে বাদ দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

শুনানির পরে যৌথ সার্ভে করা হয়। জমির প্রত্যেক দাগ নাম্বারে গিয়ে তদন্ত করে গাছ, স্থাপনা আছে কিনা তা দেখে ৫০ বিঘার বেশি হলে অনুমোদনের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়।

চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর ভূমি অধিগ্রহণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ৬ ধারা নোটিশ জারি করে ভূমি অধিগ্রহণ হবে বলে জানিয়ে দিয়ে আপত্তি থাকলে ১৫ দিনের মধ্যে অভিযোগ করার সময় দেওয়া হয়। মালিক পক্ষের যৌক্তিক আপত্তি থাকলে তা আমলে নিয়ে ৩ ধারা জারির আগের ১২ মাসে রেজিস্ট্রি হওয়া দলিলের তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট কমিটি। সেই ভিত্তিতে ভূমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। অবকাঠামো, গাছ, পুকুর ও অন্যান্য সব কিছু মিলিয়ে মূল্য নির্ধারণের পর আরও ৫০ শতাংশ বেশি যোগ করে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ৬০ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে অর্থ হস্তান্তরের অনুরোধ জানানো হয়। টাকা পাওয়ার পর জমির মালিকদের বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।

real lineপাঁচবছরপরনতুনপ্রস্তাব:

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে ২০ ডিসেম্বর ৩৬০ দশমিক ৩৬ একর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর পরের বছর ১৬ জানুয়ারি সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রস্তাব দিলে একই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় ৩৫৮ দশমিক ৯২ একর ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদনের পর ২৭৯ একর জমি অধিগ্রহণে ৩ ধারায় নোটিশ জারি করা হয়। ১৮ অক্টোবর ২৮৯ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে নথি প্রেরণ করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

মন্ত্রণালয়ে পাঠানো কাগজপত্র ও ভূমির পরিমাণে গরমিল থাকায় ২০১২ সালের ২ এপ্রিল ওই নথি অনুমোদন না করে ফেরত পাঠায় ভূমি মন্ত্রণালয়। একই বছরের ১১ জুন পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব পাঠাতে রেলের প্রকল্প পরিচালককে চিঠি দেয় জেলা প্রশাসন। বাজেট বরাদ্দের অপ্রতুলতা দেখিয়ে ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে অনুরোধ করে রেল কর্তৃপক্ষ।

এরপর ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর দোহাজারী-ঘুমধুম প্রকল্পের জন্য চট্টগ্রাম জেলার তিনটি উপজেলায় ১৬টি মোজায় ৩৬৫ দশমিক ২৪৫০ একর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য পুনরায় প্রস্তাব দাখিল করেন প্রকল্প পরিচালক ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক মো.মকবুল আহাম্মদ।

ব্যয়বাড়লো১৬হাজারকোটি:

এদিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখী রেলপথ প্রকল্পের ব্যয় ও সময়সীমা বাড়ানোর সংশোধনী প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দোহাজারী থেকে মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে প্রথমবারের মতো সংশোধন করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। সংশোধনীর পর প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি।

২০১০ সালে অনুমোদনের সময় মূল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য ঠিক হয়েছিল।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক- এডিবি ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ঋণ দেবে; বাকি ৪ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা আসবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।

প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ার বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, আগে মিটার গেজে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন ডুয়েল গেজে (মিটার গেজ এবং ব্রড গেজ) রূপান্তরিত করার কারণে জমি অধিগ্রহণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় বাড়ার কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে মেয়াদও।

সূত্র: বাংলানিউজ

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications