আজ চকরিয়া উপজেলার ১২ ইউপিতে ভোট গ্রহন। ১২ ইউপির ১১১টির মধ্যে ৭০ টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপুর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১২ ইউপিতে অবাধ, সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, চিরিঙ্গা, বরইতলী, কৈয়ারবিল, ফাসিয়াখালী, ডুলাহাজারা, বমুুবিলছড়ি, সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, লক্ষ্যারচর, সাহারবিল, হারবাং ও বরইতলী ইউপিতে মোট প্রার্থী রয়েছে ৬০৮ জন। তৎমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫০জন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ১৩৪জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে ৪২৪জন। ১২ ইউপিতে ১১১টি ভোট কেন্দ্রে ৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তার তত্তাবধানে ভোট গ্রহনে দায়িত্ব পালন করবেন ১১০ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪২৩ জন সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৮৪৬ জন পোলিং কর্মকর্তা। একজন জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও ৭ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের তত্তাবাধানে ভোটের দিন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৩ হাজার সদস্য।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, ১২ ইউপির ৭০টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁিকপুর্ণ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিক ঝুঁিকপুর্ণ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে- চিরিঙ্গা ইউনিয়নে ৯টি, বরইতলী ইউনিয়নে ৯টি, হারবাং ইউনিয়নে ৪টি, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে ৫টি, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে ১টি, ফাসিয়াখালী ইউনিয়নে ৫টি, ডুলাহাজারা ইউনিয়নে ৩টি, সাহারবিল ইউনিয়নে ৩টি, বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে ৪টি, খুটাখালী ইউনিয়নে ৪টি, কাকারা ইউনিয়নে ১টি। তবে অবাধ, সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভোটগ্রহনের জন্য সকল কেন্দ্রে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ১২ ইউপিতে ১১১টি ভোট কেন্দ্রে ৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তার তত্তাবধানে ভোট গ্রহনে দায়িত্ব পালন করবেন ১১০ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪২৩ জন সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৮৪৬ জন পোলিং কর্মকর্তা। ১২ ইউনিয়নে ১১১টি কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ১লাখ ৫৩হাজার ৮৪১জন। এরমধ্যে ৭৮ হাজার ৯৯৫জন পুরুষ ও ৭৪ হাজার ৮৪৬জন নারী ভোটার।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামরুল আজম জানান, ১২ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতি ভোট কেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তার তত্তাবধানে থাকবে ৫ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস্য। এরমধ্যে থাকবে চারজন সশস্ত্র আনসার। এছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় টহলে থাকবে ১৪০ সদস্যের ৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও র্যাবের ৪৫ জনের চারটি টিম। এছাড়াও ভোট কেন্দ্র গুলোর আশপাশ এলাকায় অবস্থান করবে পুলিশের ১২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ৩৬টি মোবাইল টিম। নির্বাচন অনুষ্টানে সমন্বয়ে থাকবে ৬ জন সহকারি পুলিশ সুপারের তত্তাবধানে ছয়টি বিশেষ টিম।