এবারের পৌর নির্বাচনে চকরিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫নং একটি ওয়ার্ডেই মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রতীক বরাদ্ধের দিন পর্যন্ত ৮ পূরুষ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১০ মহিলা প্রার্থী সমানে সমান গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা অবদী একজন প্রার্থীর আদলে অন্তত ৫ থেকে ৭টি উপদল সহকারে দলে দলে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ভোটারের বাড়ী বাড়ী গিয়ে তাদের মনোনীত প্রার্থীর জন্য একটি করে ভোট চাইছে। এবারে চকরিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের মধ্যে যেসব পুরুষ প্রার্থী মাঠে নেমেছে তাদের মধ্যে শহিদুল আলম শহিদু, ফোরকানুল ইসলাম তিতু, মৌলভি জাফর আলম, ফোরকানুল ইসলাম ও জসীম উদ্দিন উল্লখযোগ্য। দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম প্যাসবুক এবং সংবাদ মাধ্যমে ভোট করার খবরটি প্রচার এবং প্রকাশ করে আসলেও ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাংবাদিক বি এম হাবিব উল্লাহ তিনি শারীরিক অসুস্থতার জন্য এবারে মনোনয়ন ফরম সরবারাহ করেননি বলে তার পারিবারিক সুত্র প্রতিবেদককে জানিয়েছে। এক কথায় উত্তর কাহারিয়াঘোনা খোন্দকারপাড়া থেকে বি,এম হাবিব উল্লাহ অসুস্থতার জন্য নির্বাচন থেকে সরে না দাড়ালে করাইঘোনা ও কাহারিয়াঘোনার মধ্যে দ্বি-পক্ষিয় লড়াইয়ের সম্ভাবনা ছিল বলে স্থানীয়রা জানায়। এলাকার মনোনীত প্রার্থী হলেও তিনি অবশেষে নির্বাচন করছেননা এমনটিই নিশ্চিত করেছেন তিনি। এদিকে সাংবাদিক বি,এম হাবিব উল্লাহ’র স্থলে একই এলাকার উদীয়মান তরুন সমাজ সেবক হিসেবে আতœ প্রকাশকারী শহীদুল আলম শহিদুর সাথে জাফর এবং তিতু সহ তিনের মধ্যে ভোট যুদ্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ ভোটাররা। এ পর্যন্ত অনুসন্ধানে জানা গেছে, উত্তর কাহারিয়াঘোনা খোন্দকাপাড়া-ঘাটপাড়া ও পালাকাটা খোন্দকারপাড়া আঞ্চলিকতার টানে শহিদু সবার চাইতে অনেক ভোটে এগিয়ে রয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। শহীদু বলেন, কোন প্রকার ঝামেলা না হলে তিনি নিরঙকুশ ভাবে জয় লাভ করবেন। এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে শহিদু বলেন, চকরিয়া সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক বি এম হাবিব উল্লাহ-নির্বাচন করলে, তিনি নির্বাচন করতেননা। তার অসুস্থতার কারনে এবং ছেলের অপারেশনের জন্য তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর কারনে এবং এলাকার মানুষের এক তরফা সমর্থন ও মনোনয়ন নিয়ে এবারে তিনি নির্বাচন করছেন। এলাকাবাসী ভোট দিলেইতো তিনি বিজয়ী হবেন এমনটি প্রত্যাশা করেছেন শহিদু। অন্যদিকে ৫নম্বর ওয়ার্ড এবং ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা আসনে সাঈদা ইয়াছমিন, নিগার উম্মে সালমা, জেবুন্নেছা বেগম, রেহেনা খানম, ফারজানা ইয়াছমিন, কামরুন নাহার, রাজিয়া সুলতানা, নাসরিন ফেরদৌসী রিনা, খতিজা বেগম ও জেসমিন হক জেসি সহ ১০ মহিলা কাউন্সিলার মাঠে সমানে সমান চষে বেড়াচ্ছে। মহিলাদের মধ্যে খুকুমনি-রীনা এবং সাইদার মধ্যে তিনে তিনে প্রতিদ্বন্বিতা হওয়ার মনতব্য করেছেন এলাকাবাসী। প্রকৃত পক্ষে পুরুষ বা মহিলা কেইবা বিজয়ী হবেন তা প্রমান হবে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগামী ২০ মার্চ।