চকরিয়া উপজেলা এলজিইডিতে এডিপি ও ইউডিএফ প্রকল্পের আওতায় ৪২টি গ্রুপে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেছে। আগামী ২৫ জানুয়ারী উন্নয়ন কাজে অংশ নিতে ইচ্ছুক ঠিকাদারী প্রতিষ্টান দরপত্র দাখিল করতে পারবে। তবে সাধারণ ঠিকাদাররা অভিযোগ করেছেন, টেন্ডারে অংশ নিতে তাঁরা কয়েকদিন ধরে উপজেলা এলজিইডির কার্যালয়ে গিয়েও দরপত্র ফরত ক্রয় করতে পারছেনা। অফিসের কর্মকর্তারা কর্মকর্তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে তাদেরকে ফরম বিক্রি করছেনা। দিনের বেশির ভাগ সময় উপজেলা প্রকৌশলী ও অফিস সহকারি উত্তমের কক্ষ বন্ধ থাকার কারনে ঠিকাদাররা ওই অফিসে ফরমের জন্য গিয়ে ফেরত আসতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয় একাধিক ঠিকাদার জানান, উপজেলা এলজিইডিতে চলতি অর্থবছর এডিপি ও ইউডিএফ প্রকল্পের আওতায় ৪২টি গ্রুপে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এলজিইডির কর্মকর্তারা টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেছে। ২৫ জানুয়ারী উন্নয়ন কাজে অংশ নিতে ইচ্ছুক ঠিকাদারী প্রতিষ্টান দরপত্র দাখিল করার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন, অফিসের কর্মকর্তারা গোপনে এসব উন্নয়ন কাজ পছন্দের ঠিকাদারদেরকে দেয়ার জন্য কৌশলে দরপত্র ফরম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। যাতে অন্য ঠিকাদাররা টেন্ডারে অংশ নিতে না পারে। এমনকি টেন্ডারে অংশ নিতে কয়েকদিন ধরে উপজেলা এলজিইডির কার্যালয়ে গিয়েও দরপত্র ফরত ক্রয় করতে পারছেনা ঠিকাদাররা। গত কয়েকদিন ধরে দিনের বেশির ভাগ সময় উপজেলা প্রকৌশলী ও অফিস সহকারি উত্তমের কক্ষ বন্ধ থাকে বলে অভিযোগ করেন ঠিকাদাররা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলা এলজিইডি অফিসে গেলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ওইসময় উপজেলা প্রকৌশলী ও অফিস সহকারি দুইজনের অফিসের দরজা বাইর থেকে তালাবদ্ধ দেখা যায়। ওইসময় বেশ ক’জন ঠিকাদার আক্ষেপ করে অফিসের এমন অবস্থার কথা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
জানতে চাইলে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো.আমিন উল্লাহ বলেন, ফরম বিক্রি বন্ধ করার অভিযোগটি সঠিক নয়। কারন প্রতিদিনই অফিস থেকে দরপত্র ফরম বিক্রি করা হচ্ছে। তবে উন্নয়ন কাজের গ্রুপ বেশি হওয়ায় ফরম গুলো তৈরী করতে একটু সময় লাগছে। তিনি বলেন, শুক্রবার ও শনিবার অফিস খোলা থাকবে, শুধুমাত্র ফরম বিক্রির জন্য। কাজেই ঠিকাদারদের এমন অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন।