চকরিয়া উপজেলার চিংড়ি জোন রামপুরে একটি স্লুইচ গেট জবর দখল করতে গিয়ে সন্ত্রাসীরা প্রায় অর্ধশতাধিক রাউন্ড গুলি ছুডেছে। এসময় সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়ে ভীতি সঞ্চার করে পাশের ১৭টি চিংড়ি ঘেরে লুটপাট চালিয়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যে মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। এসময় সন্ত্রাসীদের মারধরে চিংড়ি ঘেরের ৩ জন কর্মচারী আহত হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল রাত দেড় ঘটিকার (১.৩০) সময় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘের মালিকেরা জানিয়েছেন সন্ত্রাসীদের চাহিদানুযায়ী নির্দিষ্ট অংকের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় গত ৩ এপ্রিলও ওই এলাকার কয়েকটি চিংড়ি ঘেরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিল। এসব ঘটনার পর চিংড়ি চাষীরা ঘেরে যেতে ভয় করছে। রামপুরের চিংড়ি ঘের মালিক মোজাহের আহমদ জানান; ওই এলাকার সন্ত্রাসী ফজল, মারুফ, বেলাল, ছৈয়দ আলম, মহেশখালীর সাদ্দাম ও লেদু’র নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী গত ৮ এপ্রিল রাত আনুমানিক দেড়টার সময় রামপুরের ২ নং স্লুইচ গেটটি জবর দখল করতে যায়। এসময় তারা ওই স্লুইচ গেটের পাশের প্রায় ১৭টি চিংড়ি ঘেরে হানা দেয়। ওই চিংড়ি ঘের গুলোতে লুটপাট চালিয়ে চিংড়ি ও বিভিন্ন জাতের প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূলের মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এসময় লুটপাটে বাঁধা দেয়ায় সন্ত্রাসীদের মারধরে ১৫ নং ঘেরের কর্মচারী নুরুল আবছার(৪৫), ১৪ নং ঘেরের কর্মচারী আবদুর রহিম(৩৭), বেড়িবাঁধের বাইরের একটি ঘেরের কর্মচারী ছৈয়দ আলম(৪৫) আহত হয়েছে। চিংড়ি চাষীরা জানায়, এ সময় সন্ত্রাসীরা প্রায় ৫০ রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করায় ঘেরের কর্মচারী ও চিংড়ি চাষীরা পালিয়ে যায়। চিংড়ি ঘেরগুলোর পাহারাদারদের তাড়িয়ে দিয়ে তারা খামার বাড়ি ভাংচুর ও প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের চিংড়িসহ বিভিন্ন জাতের মাছ লুট করে নিয়ে যায়। চিংড়ি চাষীরা জানান, রামপুর এলাকায় চিংড়ি ঘের গুলোতে সন্ত্রাসী কর্তৃক স্লুইচ গেট দখল, চাঁদা দাবী, হামলা, লুটপাট এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান জানান, এ ব্যাপারে এখনও কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পাওয়া গেলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। চিংড়ি চাষীরা জানান, তারা এ ব্যাপারে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।