২০১৫ সালের অন্তত পাঁচ দফা বন্যায় ভেঙে ক্ষতবিক্ষত চকরিয়া জনতা মার্কেট বাঘগুজারা সড়ক। অথচ এ সড়ক মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
বন্যার পর প্রায় ছয়মাস সময় অতিবাহিত হলেও ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের বিভিন্ন অংশ এখনও বহাল রয়েছে। রাস্তা-ঘাট মেরামতে প্রয়োজনীয় অর্থবরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনে চিঠি পাঠিয়ে দায় সারছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ফলে সড়কটির এমন দৈন্যদশার কারণে প্রতিদিন সড়কে চলাচলরত শত শত যানবাহন ও চকরিয়া পৌরসভা ও উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের অন্তত লক্ষাধিক জনসাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ নুরুস শফি বলেন, বর্ষা মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে গতবছরের জুন মাসে মাতামুহুরী নদীতে পাহাড়ি ঢল নামলে পানি প্রবাহ বেড়ে উপজেলার বিভিন্ন জনপদ বন্যায় তলিয়ে যায়। ওইসময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় চিরিঙ্গা-জনতা মার্কেট-বাঘগুজারা সড়কের একাধিক অংশ। এরই মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চকরিয়া বিমানবন্দর লাগোয়া সড়কের পশ্চিম অংশ।
চকরিয়া পৌরসভার ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর রাশেদা বেগম বলেন, বন্যায় সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ার পর জনদুর্ভোগের বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত সময়ে মেরামতের জন্য আবেদন করা হয় কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে। কিন’ ভাঙনের পর ৬ মাস সময় অতিবাহিত হলেও সড়ক বিভাগের লোকজন এ ব্যাপারে কোন ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ অবস’ার ফলে বর্তমানে চকরিয়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড ও উপজেলার পূর্ববড় ভেওলা, বিএমচর, কোণাখালী ইউনিয়নের অন্তত লক্ষাধিক জনসাধারণকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি বলেন, সড়কের এই অবস’ার বিষয়টি ইতোমধ্যে স’ানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে চকরিয়া- পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, জনগণের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে সড়কটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশসমূহ দ্রুত সময়ে মেরামতের জন্য কক্সবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনেক আগে বলা হয়েছে।
স’ানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ভাঙন এলাকায় সড়ক জনপথ বিভাগের আওতাধীন সড়কটি পুর্নসংস্কার ও পাথরের রিংবাধ দিয়ে নির্মাণ করা হলে পৌরসভার প্রায় ৬০ হাজার জনগণসহ পুরাতন বিমান বন্দরে অবসি’ত সেনানিবাস ও আশপাশ এলাকার জনবসতি বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জনসাধারণ সড়কটি মেরামতের জন্য স’ানীয় এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে চকরিয়া উপ-বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদের বরাদ্ধে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে মাটি ভরাটের কাজটি বাস্তবায়ন করবেন বলে উপজেলা চেয়ারম্যান কক্সবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়েছেন। মাটি ভরাটের কাজ শেষ হলেই সড়ক বিভাগ অবশিষ্ট কাজ বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেবে।