নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, সারাদেশে ১০টি পৌরসভায় একযোগে আগামী ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে কোন ধরণের অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, আনসার সদস্য সর্বদা মোতায়েনের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবির মোবাইল টহল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটর নেতৃত্বে। এর পরেও যদি কোন মহল ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা আশপাশে কোন ধরণের গোলযোগ সৃষ্টি এবং ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিলমারা, ব্যালট বাক্স ছিনতাইসহ আইন-শৃক্সক্ষলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করা হয় তাহলে কঠোরভাবে দমন করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে গুলি ছুঁড়তেও দ্বিধা করবে না বাহিনীর সদস্যরা।
মঙ্গলবার কক্সবাজারের চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নির্বাচন কমিশন সচিব বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন অংশগ্রহনকারীদের। এ সময় ভোট গ্রহনসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কৌশলও তুলে ধরেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশন সচিব উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ, সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাহেদুল ইসলাম, চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রমূখ।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন দৈনিক কক্সবাজারকে জানান, নির্বাচনে ভোটগ্রহনে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিব চকরিয়ায় এসেছেন। দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি দিক-নির্দেশনা তুলে ধরে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে। তিনি আরো জানান, প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ১৮ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ১৩০জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ২৫০জন পোলিং অফিসার অংশ নিয়েছেন।