চকরিয়ায় স্বামীর পরিবারের আবদার রক্ষা করতে না পারায় বিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে দেখে গলাঁয় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে অভিমানী নাজমা আক্তার (১৮)। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের মালুমঘাট ডুমখালীস্থ উত্তরপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ মর্মান্তিক ঘটনা। নিহত নাজমা ওই গ্রামের দিনমুজুর আবদুশ শুক্কুরের মেয়ে। এ ঘটনায় এলাকার লোকজনের মাঝে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবদুস ছালাম বলেন, বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার ও আত্মীয় স্বজনের দেয়া টাকা এবং নিজের কাছে গচ্ছিত সামথ্য নিয়েই দিনমুজুর আবদুশ শুক্কুর তার মেয়ে নাজমা আক্তারের সাথে একই উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার এক যুবকের বিয়ের আয়োজন করছিলো। ইতোমধ্যে দুইজনের পরিবার সদস্যরা বিয়ের কথা প্রায় চুড়ান্ত করেছেন। শুক্রবার ছিলো বিয়ের পর্দ করার দিন। কিন্তু এদিন সকালে হবু বর ফোন করে নাজমাকে জানায় তাদের কথা মতো সব কিছুই দিতে হবে। চাহিদা পুরন করতে না পারলে এ বিয়ে হবেনা। ফলে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বরপক্ষের কেউ মেয়ের বাড়িতে আসেনি ফর্দ ঠিক করতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা লোকজন জানান, বর পক্ষের চাহিদা অনুযায়ী আবদার রক্ষা করতে না পারায় শুক্রবার নাজমা আক্তারের বিয়ের ঠিকপর্দ হয়নি। এ কারনে রাগে ক্ষোভে অভিমান করে নাজমা সন্ধ্যার দিকে বাড়ির ভেতর তীরের সাথে গলাঁয় উড়ঁনা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক রুস্তম গনী মাহমুদ বলেন, ঘটনার পরপর প্রতিবেশি লোকজনের সহায়তায় পরিবার সদস্যরা তাৎক্ষনিকভাবে নাজমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীষ্টান হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শাররীক অবস্থা পরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দলকে পাঠানো হয়েছে। লাশটি উদ্ধারের পর পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।