চকরিয়ায় কাস্টম্স এক্সচেঞ্জ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নেয়ার মাধ্যমে গোপনে ভ্যাট দাতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্টানকে ভ্যাট ফাঁিকতে সহায়তা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থার ফলে চকরিয়া, পেকুয়া, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার ৯৪ ইট ভাটা থেকে ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে চরম অনিয়মে জড়িয়েছে কাস্টম্স কর্মকর্তারা। ভাটা মৌসুমের আড়াই মাস সময় অতিবাহিত হলেও সাড়ে ৩ কোটি টাকার মধ্যে এসব ইট ভাটা থেকে ভ্যাট আদায় করা হয়েছে মাত্র ২২ লাখ টাকা।
জানা গেছে, কক্সবাজার কাস্টম্স বিভাগের এই কার্যালয়টি একবছর আগে চকরিয়া সদরে চালু হওয়ার পর এ কার্যালয়ের অধীনে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, পেকুয়া ও চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া এবং সাতকানিয়া উপজেলার সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্টান ও ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে ভ্যাট আদায়ের জন্য অন্তর্ভূত করা হয়। চারটি উপজেলায় সর্বমোট ইটভাটা রয়েছে ৯৪টি। এসব ইটভাটা থেকে ভ্যাট আদায় করেন চকরিয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
কাস্টম্স বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার দুটি, পেকুয়া উপজেলার চারটি, লোহাগাড়া উপজেলায় ৪৩টি ও সাতকানিয়া উপজেলায় ৪৫টি ইট ভাটা রয়েছে। ২০১৫ সালের নভেম্বর মাস থেকে ইটভাটা মৌসুম শুরু হয়েছে। প্রত্যেক ইটভাটাকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছে। চার উপজেলার ৯৪ টি ইটভাটা থেকে ভ্যাট নির্ধারন করা হয়েছে ৩ কোটি ৫২লাখ ৫০ হাজার টাকা।
অভিযোগ উঠেছে, এসব ইটভাটা থেকে ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে কাস্টম্স বিভাগের কর্মকর্তারা অনিয়মের মাধ্যমে ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে গোপনে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট ফাঁঁিকতে সহায়তা দিচ্ছেন। ফলে মৌসুমের আড়াই মাস সময় অতিবাহিত হলেও এসব ইট ভাটা থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ২২লাখ টাকা ভ্যাট আদায় করতে পেরেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। কর্মকর্তাদের এমন কর্মকান্ডের কারণে এবছর ইটভাটা থেকে নির্ধারিত পরিমাণ ভ্যাট আদায় না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ইটভাটা মালিকরা জানিয়েছেন, কাস্টম্স বিভাগের অভিযোগটি সঠিক নয়। কারণ প্রতিবছর মৌসুম শুরু হওয়ার আগে বেশির ভাগ ইটভাটা মালিক ভ্যাট পরিশোধ করেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সময় নেন অনেকে। এই ক্ষেত্রে কাস্টম্স কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করতে হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চকরিয়া কাস্টম্স বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, মৌসুম শুরু হওয়ার আগে থেকে ইটভাটা মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২২ লাখ টাকা ভ্যাট আদায় হয়েছে। অবশিষ্ট ভ্যাট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদায় করা হবে। তিনি বলেন, চার উপজেলার ইটভাটা গুলোতে যেতে অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু সরকারিভাবে খরচ খাতে বরাদ্ধ পাওয়া গেছে মাত্র ৮০ হাজার টাকা। অল্প টাকায় অনেক এলাকায় যাওয়াও সম্ভব হচ্ছেনা। তারপরও চেষ্টা চলছে ভ্যাট আদায় নিশ্চিত করতে।