চকরিয়ায় অভ্যন্তরীণ সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতেরা একটি মোটর সাইকেল ও অপর একটি চাঁদের গাড়ির (জিপ) গতিরোধ করে ডাকাতি সংঘটিত করে। এ সময় ডাকাতেরা পর পর দুটি ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। একটি গুলি চাঁদের গাড়ির বডিতেও গিয়ে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত না হলেও সর্বস্ব খোঁয়াতে হয় যাত্রীদের। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা-হারগাজা-শাহসুজা সড়কের বুইজ্জারমার ঝিরির ব্রিজ এলাকা দুর্ধর্ষ এই ডাকাতি প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ডুলাহাজারা স্টেশন ছেড়ে যাওয়া বান্দরবানের লামা উপজেলার হারগাজাগামী তিনজনকে বহনকারী একটি মোটর সাইকেল বুইজ্জারমার ঝিরির ব্রিজ এলাকায় পৌঁছে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ১০-১২ সদস্যের মুখোশ পরিহিত একদল সশস্ত্র ডাকাত সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে গতিরোধ করে। এই মুহুর্তে বিপরীত দিক থেকে আসা ডুলাহাজারাগামী যাত্রীবাহী অপর একটি চাঁদের গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকা পড়ে। এ সময় ডাকাতেরা জিপকে লক্ষ্য করে একটি এবং আরো একটি ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এর পর একযোগে মোটর সাইকেল ও জিপের যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুট করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ডাকাতের কবলে পড়া লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার (সদস্য) নুরুল আবচার জানান, রাতে ডুলাহাজারা স্টেশন থেকে মোটর সাইকেলে চেপে তিনি ছাড়াও অপর দুইজন আবদু শুক্কুর ও রুহুল আমিন নিজ বাড়ি হারগাজা যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে ওঁৎ পেতে থাকা ১০-১২ সদস্যের মুখোশ পরিহিত একদল সশস্ত্র ডাকাত সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে গতিরোধ করে। এ সময় মেম্বারের কাছ থেকে ২ হাজার নগদ টাকা ও একটি মোবাইল এবং আবদু শুক্কুর ও তার ভাই রুহুল আমিনের কাছ থেকে দুটি মোবাইল সেট ছাড়াও ২৭৬০ টাকা লুট করে। এ সময় চাঁদের গাড়িতে থাকা প্রায় ১২ যাত্রীর কাছ থেকেও সর্বস্ব লুট করে ডাকাতেরা। তবে এসব যাত্রীদের কাছ থেকে ডাকাতেরা কি পরিমাণ টাকা ও মালামাল লুট করেছে তার সঠিক তথ্য না থাকায় মেম্বার নুরুল আবচার জানাতে পারেননি। মেম্বার আবচার আরো জানান, তার ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি একেবারে অল্প দামের হওয়ায় অনেক অনুরোধ করার পর ডাকাতেরা ফেরত দেয়।
ডাকাতের কবলে পড়া চাঁদের গাড়িটি উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগীর খিল গ্রামের মোহাম্মদ মিজানের। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন একই এলাকার মোহাম্মদ রুবেল নামের এক চালক।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান গতরাতে দৈনিক কক্সবাজারকে বলেন, ‘ডুলাহাজারা-হারগাজা-শাহসুজা সড়কের চকরিয়া অংশের কোথাও যাত্রীবাহী গাড়িতে কোন ডাকাতি হয়েছে কি-না তা পুলিশের কাছে তথ্য নেই। এমনকি এ ধরণের অভিযোগ নিয়ে থানায়ও কোন ব্যক্তি যোগাযোগ করেনি। যোগাযোগ করলে পরবর্তী আইগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’