চকরিয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পযর্ন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধে পৌর শহরের মার্কেট মালিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গত ১৪জানুয়ারী’১৬ইং লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে মার্কেট মালিকরা জানিয়েছেন, চকরিয়া পৌর শহরে তারা দীর্ঘকাল ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছেন। বিগত ২০০২সনে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মহাসড়কের পাশ্বে ব্যক্তি মালিকানাধীন খতিয়ানভূক্ত জমিতে নির্মিত দোকান-ঘর, পাকা দালান উচ্ছেদ অভিযান চালায়। তৎসময়ে মার্কেট মালিক হাজী বশিরুল আলম, হাজী এবিএম সাকের, মাহবুবুল হক, ওসমান গনি, আবদুল মন্নান, আনোয়ারুল এহছান, নুর মোহাম্মদ রবিউল এহছান, মো: জাফর আলম ও নুর আহমদ সহ অপরাপর মার্কেট মালিকরা যৌথভাবে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে উচ্ছেদের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রীট মামলা নং ৭৫২৮/০২ দায়ের করেন। ওই মামলায় মহামান্য বিচারপতি গৌর গোপাল সাহা মামলার প্রতিপক্ষ সরকারের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রচার করেন। সর্বশেষ ২০০৪সনের ১৮ফেব্রুয়ারী হাইকোর্টের রিটপিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পযর্ন্ত নিষেধাজ্ঞার আদেশ বর্ধিত করেন। বিগত ২০০সনে রিটপিটিশনকারীদের তদবিরের অভাবে মহামান্য হাইকোর্টের ইস্যুকৃত রুল প্রত্যাহার করলেও ২০০৯সনের ১জুন মহামান্য বিচারপতিগণ ২০০২সনের পূর্বের নিষেধাজ্ঞাদেশ বহাল রাখেন। পিটিশনে অভিযুক্ত করা হয়েছে জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) কক্সবাজার, এলএও কক্সবাজার, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সওজ) কক্সবাজার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি চকরিয়াকে।
মার্কেট মালিকরা অভিযোগ করেন, গত ৪জানুয়ারী’১৬ইং চকরিয়া সড়ক উপ-বিভাগ কক্সবাজার স্বাক্ষরিত হাইকোর্টে রিটপিটিশনকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ নোটিশ প্রেরণ এখতিয়ার বহির্ভূত। যাহা আদালত অবমাননার সামিল বলে দাবী করেন। তাই তপশীলোক্ত চিরিংগা মৌজা নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মালিক ও ব্যবসায়ীরা।