চকরিয়া উপজেলায় খুবই শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছে। ২৩ এপ্রিল এ উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্টুভাবে অনুষ্টিত হয়। ৪র্থ ধাপে এ উপজেলার আরও ৬টি ইউনিয়নে ৭ মে নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। ২৩ এপ্রিলে অনুষ্টিত নির্বাচনে চকরিয়া উজেলার ১২টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ পেয়েছেন ৬টি, আ.লীগ বিদ্রোহী ১, বিএনপি ২টি, জাতীয় পার্টি ১ ও ২টিতে স্বতন্ত্র (জামায়াত)।
নির্বাচনে ১২টি ইউনিয়নে বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন- ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (নৌকা), কাকারা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত ওসমান (নৌকা), সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম (নৌকা), খুটাখালী ইউনিয়নে জামায়াতের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রহমান (আনারস), সাহারবিল ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মাতামুহুরী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুল (নৌকা), বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতলব (ধানের শীষ), লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে জামায়াতের প্রার্থী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী গোলাম মোস্তাফা কাইছার ( ঘোড়া), চিরিঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ জসিম উদ্দিন (নৌকা), বরইতলী ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী জালাল আহমদ সিকদার (ধানের শীষ), কৈয়ারবিল ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মক্কী ইকবাল হোসেন (আনারস), হারবাং ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিরানুল ইসলাম মিরান ( নৌকা), ডুলাহাজারা ইউনিয়নে জাতীয় পাটি (এরশাদ) প্রার্থী নুরুল আমিন (লাঙ্গল) নির্বাচিত হয়েছেন।
চকরিয়ার ইউপি নির্বাচন সমন্বয়কারী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাহেদুল ইসলাম বলেন, চকরিয়ার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রশাসনিকভাবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। যার কারণে ভোট কেন্দ্রে কোন বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন ৯জন ম্যাজিষ্ট্রেট, ৬প্লাটুন বিজিবি, ৪৪সদস্যের র্যাবের ৪টি টীম, পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ সহ আইনশৃংখলাবাহিনীর সাড়ে ৩হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে।
নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনে সার্বক্ষনিক দায়িত্বপালন করেন একজন জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও ৮জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। তাদের তত্তাবাধানে উপজেলার ১১১টি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৩ হাজার সদস্য। ভোট কেন্দ্র গুলোতে ৬জন রির্টানিং কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ভোট গ্রহনে দায়িত্ব পালন করবেন ১১০জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪২৩জন সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৮৪৬জন পোলিং কর্মকর্তা।