চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী লবণ ও চিংড়ি জোন খ্যাত চিলখালী, মেধের কোনা, বাইল্যাঘোনা, মসজিদ ঘাটসহ একাধিক ঘোনাতে গভির রাতে গণডাকাতি সংগটিত হয়েছে। এতে ডাকাতে প্রহারে আহত হয়েছে ৫ লবণ শ্রমিক। তারা হলেন লবন চাষী আবদুল হাকিম, মো: জয়নাল, নাছির উদ্দিন, শামসুল আলম, জুলু মিয়া ও মোহাম্মদ হোসেন। তাদের মধ্যে গুরুত্বর আহত মোহাম্মদ হোছনকে মালুমঘাট খ্রীষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত দেড় টার সময় ঘটে ডাকাতির এ ঘটনা। এসময় ডাকাতরা লবণ মাঠ শ্রমিকদের কাছ থেকে নগদ টাকা, সেলু মেশিন, লবন মাঠের পলিথিন, মোবাইল ও প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সহ লুট করে নিয়ে গেছে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা চকরিয়া থানা ও উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ডাকাতের প্রহারে আহত লবণ শ্রমিকরা জানায়, ২৫/৩০ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল বৃহস্পতিবার রাতে তাদের লবণ মাঠের টংঘরে হানা দেয়। এসময় ডাকাতরা তাদেরকে ব্যাপক মারধর করে মালামাল লুট করেন। তাদেরকে বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন বেশ ক‘জন লবণ শ্রমিক। ডাকাতের মারধর সহ্য করতে না পেরে পানিতে লাফ দেয় লবণ শ্রমিক মোহাম্মদ হোছন। পরে ঘন্টা দুয়েক পর তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় পানি থেকে উদ্ধার করা হয়। লবণ শ্রমিক নাছির ও জুলু মিয়া জানায় ডাকাতরা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি টং ঘরে হানা দিয়েছে। চলে যাওয়ার সময় সাফ জানিয়ে দিয়েছে মাঠ করতে চাইলে প্রতি কানিতে ২ হাটার টাকা করে চাঁদা দিতে হবে। ডাকাতের অত্যচার ও মারধর সহ্য করতে না পেরে ইতিমধ্যে লবণ মাঠ ছেড়ে পালিয়ে এসেছে এসব ঘোনার প্রায় শতাধিক চাষী। তারা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ প্রশাসনের হস্তাক্ষেপ কামনা করেছেন।
অন্যদিকে ডাকাতের ভয়ে লবণ চাষী শ্রমিক লবণ মাঠে যেতে অনিহা প্রকাশ করেছেন। তাদের কারনে চরম বেকায়দায় পড়েছেন স্থানীয় লবণ চাষী ও ব্যবসায়ীরা। তারা জানিয়েছেন সংঘবদ্ধ ডাকাত দল প্রতিদিন গভির রাতে ইঞ্চিন নৌকা করে এসে হানা দেয়। দিনের বেলায় তারা উপজেলার ডুলাহাজারা মালুমঘাট রিজার্ভ পাড়ায় গিয়ে ভাগবাটোয়ারা করেন। সম্প্রতি সময়ে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় ইতিমধ্যে অনেক লবণ চাষী মাঠ ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন। তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনসহ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এসব ঘোনার প্রায় কয়েক হাজার লবণ চাষী মালিক ও সংশ্লিষ্টরা।