চকরিয়ায় বিএনপি’র একক, একাধিক প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় আ’লীগ
ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
আপডেট সময়
মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০১৬
২৫৮
বার পড়া হয়েছে
চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। আগামী ২০ মার্চ অনুষ্টিতব্য নির্বাচনে নিজের পক্ষে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বিশ্রামহীন প্রচারণা শুরু করেছে। মেয়র পদে সরাসরি আওয়ামীলীগের মো.আলমগীর চৌধুরী নৌকা প্রতিক নিয়ে ও বিএনপি’র বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম হায়দার ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নানা কৌশলে ভোটারদের মন জয় করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের ৮টিতে বিএনপি একক প্রার্থী দিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী থাকায় বেশ বেকায়দায় পড়েছে আওয়ামীলীগ। এমনকি আওয়ামীলীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্তাপনও শুরু করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩নং ওয়ার্ডে বিএনপি’র কোন প্রার্থী নেই। অপর ৮টি ওয়ার্ডে একক প্রার্থী থাকায় এই দলের নেতা-কর্মী সমর্থকরা একজোট হয়ে দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ফিরছে।
অন্যদিকে, আওয়ামীলীগ অনেক চেষ্টা করেও একক প্রার্থী দিতে পারেননি। ৪নং ওয়ার্ডে সর্বনিন্ম ২জন হলেও অন্য ৮টি ওয়ার্ডে তিন থেকে পাঁচজন পর্যন্ত আওয়ামীলীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছেন । ফলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ছাড়াও অঙ্গ ও সহয়োগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এতে ভোটারদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির পাশাপাশি আওয়ামীলীগ পড়েছে বেকায়দায়।
এদিকে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যেই রেষা-রেষি শুরু করার পাশাপাাশি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উত্থাপনও করছে। ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজবাউল হক(সাংবাদিক) চকরিয়া প্রেসক্লাবে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে অভিযোগ করেন তার ওয়ার্ডে দুটি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি হতে পারে। তার কর্মীদের প্রচারণায় বাঁধা দেয়া হচ্ছে। কাউকে উদ্যোশে করে এই অভিযোগ না করলেও দুটি কেন্দ্রকেই ঝুকিপূর্ণ ঘোষনার দাবি জানিয়েছেন।
একই অভিযোগ ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমেরও । তিনি নিজ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে লিখিত অভিযোগে দাবী করেন, আমার পাঞ্জাবী প্রতিকের পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে নাজেহাল ও মারধরের শিকার ছাড়াও হুমকির মুখে পড়েছে কর্মীরা। প্রতিদ্বন্দ্বী হাজি আবুল কালামের লোকজন আমার কর্মীদের উপর হামলা করেছে। তারা ভোট ছিড়ে নেয়ার আগাম ঘোষনা দিয়েছে বলেও রেজাউল করিমের দাবী। তিনিও ২নং ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রে সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণ ভোট আদায়ে দুটি কেন্দ্রকে অতিঝুকিপূর্ণ তালিকাভুক্ত করতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন।
চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.মেছবাহ উদ্দিন বলেন, যেকোন উপায়ে শান্তিপূর্ণ ভোট আদায় করা হবে। বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জরিপ চালিয়ে ঝুঁকিপূণ কেন্দ্র তালিকা প্রনয়ন পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।