1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
জঙ্গিদের ৩৫০ মামলার একটিও নিষ্পত্তি হয়নি - Daily Cox's Bazar News
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

জঙ্গিদের ৩৫০ মামলার একটিও নিষ্পত্তি হয়নি

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৬
  • ৪০০ বার পড়া হয়েছে

1-pic-terrorists-dcবিভিন্ন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গত পাঁচ বছরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা ৩৫০টি মামলার একটিরও বিচার নিষ্পত্তি হয়নি। ঢাকার বিভিন্ন থানায় ৩৫০টিসহ এই আইনে পাঁচ বছরে মোট ৩৬৫টি মামলা হয়েছে। বাকি ১৫টি মামলা হয়েছে সাত পাকিস্তানি নাগরিক এবং বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে।
আইনজীবীসহ আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, এই আইনে মামলা দায়ের করা থেকে শুরু করে তদন্ত, অভিযোগপত্র দাখিল এবং তা আদালতে আমলে নেওয়া পর্যন্ত—এই চার ধাপে চার দফা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন হয়। এই প্রক্রিয়ার কারণে দীর্ঘ সময় চলে যায়।
বিচার শুরুর পর সরকারি কৌঁসুলিদের গাফিলতির কারণেও মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ সময় লাগছে বলে অভিযোগ আছে। ২০১২ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১১৮টি মামলার অনুমোদন দেয়। এরপর মামলাগুলোর একটিরও বিচার শেষ হয়নি।
অবশ্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু দাবি করেন, মামলার বিচার কার্যক্রমে সরকারি কৌঁসুলিদের কোনো গাফিলতি নেই। তিনি বলেন, ঠিকভাবে সাক্ষী না আসায় বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলোর একের পর এক তারিখ পড়ছে। আর সাক্ষী আনার দায়িত্ব পুলিশের।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত ও তথ্য প্রসিকিউশন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইন পাস হওয়ার পর রাজধানীর ৪০টি থানায় মোট ৩৬৫টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫০টি মামলা হয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও হিযবুত তাহ্রীরের বিরুদ্ধে। এসব মামলায় জেএমবির ১৫৩ জন ও হিযবুত তাহ্রীরের ২১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাকি ১৫ মামলার মধ্যে আটটি মামলা হয়েছে সাদেক হোসেন খোকা ও হাবিবুন নবী খানসহ বিএনপির ২৫ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে হয়েছে চারটি এবং সাতজন পাকিস্তানি নাগরিকের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর ১১৮টি মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজের অধীন বিভিন্ন আদালতে এসব মামলার বিচার শুরু হয়। এখন পর্যন্ত একটিরও বিচার শেষ হয়নি।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, যেসব মামলায় ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন হয়েছে, সেগুলোর বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নিতে সরকারি কৌঁসুলিদের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
নথিপত্রে দেখা যায়, গত বছরের বিভিন্ন সময়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক জহুরুল হক আরও ১৩৩ মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার জন্য অনুমোদন চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান। এর মধ্যে চলতি বছর তিনটি মামলার অনুমোদন আসে। এ তিন মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। বাকি ১৩০টি মামলার অনুমোদন এখন পর্যন্ত না আসায় বিচার শুরু করা যাচ্ছে না বলে আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘যখনই আমাদের কাছে অনুমোদনের জন্য আসে, তখনই দিয়ে দিই। প্রতিদিনই এমন দু-একটা অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।’
অভিযোগপত্র আমলে নিতে ১৩০টি মামলার অনুমোদন এখনো অপেক্ষমাণ থাকার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনুমোদনের জন্য পাঠানোর ক্ষেত্রে কোথাও যদি প্রক্রিয়াগত ত্রুটি হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে হয়ত আমাদের কাছে আসতে দেরি হতে পারে। তারপরও বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।’
পুলিশের অপরাধ তদন্ত ও তথ্য প্রসিকিউশন বিভাগ জানায়, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা আরও ৪০টি মামলার তদন্ত ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন চাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। বাকি মামলাগুলো তদন্তাধীন আছে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিবুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ২০০৯ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হয়। এই আইনে মামলা দায়ের, তদন্ত ও অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হয় পুলিশকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত ওই অভিযোগপত্র আমলে নিতে আবার একই মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হয় আদালতকে। এই বিধানের মাধ্যমে বিচারকের ক্ষমতাকে খর্ব করা হয়েছে বলে এই আইনজীবী মনে করেন।
কাজী নজিবুল্লাহ আরও বলেন, সাধারণত কোনো মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার পর তা গ্রহণ করা না-করা আদালতের এখতিয়ার। কিন্তু এই আইনে তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা রাখা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের হাতে। তার ওপর চার ধাপে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে গিয়ে মামলার বিচারের জন্য প্রস্তুত হতেই অনেক সময় পেরিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়টি স্বীকার করেছেন আইনমন্ত্রীও। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আইনটি সংশোধন করতে হলে তা আবার মন্ত্রিসভায় তুলতে হবে। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ কারণে মামলার বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই পর্যায়ে আইন সংশোধন না করে মামলাগুলোর বিচারকাজ শেষ করা দরকার।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications