1. arif.arman@gmail.com : Daily Coxsbazar : Daily Coxsbazar
  2. dailycoxsbazar@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  3. litonsaikat@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  4. shakil.cox@gmail.com : ডেইলি কক্সবাজার :
  5. info@dailycoxsbazar.com : ডেইলি কক্সবাজার : Daily ডেইলি কক্সবাজার
জাতীয় সংসদে পুরুষ ও নারী এমপিদের বিরোধ তুঙ্গে - Daily Cox's Bazar News
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ ::
ডেইলি কক্সবাজারে আপনার স্বাগতম। প্রতি মূহুর্তের খবর পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
সংবাদ শিরোনাম ::
কট্টরপন্থী ইসলামী দল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ: এসএডিএফ কক্সবাজারের আট তরুণ তরুণীকে ‘অদম্য তারূণ্য’ সম্মাননা জানাবে ঢাকাস্থ কক্সবাজার সমিতি Job opportunity বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়না, নাকি স্বপ্নের দেশ! আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধের আহ্বান আরব লীগের পেকুয়ায় পুলিশের অভিযানে ৮০ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার-১ পেকুয়ায় অস্ত্র নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল : অস্ত্রসহ আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী লিটন টেকনাফে একটি পোপা মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা ! কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-১ নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা

জাতীয় সংসদে পুরুষ ও নারী এমপিদের বিরোধ তুঙ্গে

ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৬
  • ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে
songsodজাতীয় সংসদে এমপি ও নারী এমপিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত এখন তুঙ্গে। এই সংঘাতের খবর শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যন্ত গড়িয়েছে। একে-অন্যের বিরুদ্ধে নালিশ গেছে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও। জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছেও নালিশ করেছেন কেউ-কেউ। তবু, এখন পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। বরং দিনে-দিনে তাদের মধ্যে বিবদমান সম্পর্ক তিক্ততর হয়ে উঠছে বলে জানা গেছে।  একাধিক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে যুব মহিলা লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার তুহিনের সঙ্গে খুবই সুসম্পর্ক ছিল স্থানীয় সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলামের। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত তারা প্রতিটি  সামাজিক-রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে একযোগে অংশ নিয়েছেন। এলাকার জনগণের সুখ-দুঃখও তারা ভাগাভাগী করে নিয়েছেন। কিন্তু ২০১৪ সালের তুহিন সংরক্ষিত আসনে এমপি হওয়ার পর এ চিত্র পুরোটাই পাল্টে গেছে। দুজনের বর্তমান অবস্থান এমন যে একজন অন্যজনের মুখ দেখাদেখি তো দূরের কথা, কেউ কারও নাম পর্যন্ত শুনতে পারেন না। দুই এমপির দ্বন্দ্ব-সংঘাত এখন প্রকাশ্য। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের থেকেও আসলাম ও তুহিনের মধ্যে বেশি বৈরি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, কেবল এই দুই এমপি নন, সারাদেশের চিত্রই এমন। দেশের প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় দলের এমপি ও একই দলের সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপিদের মধ্যে ঘোরতর বৈরি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এলাকার কোনও কর্মসূচিতে একজন অংশ নেন তো অন্যজন তা বর্জন করেন। দু’পক্ষের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে মামলা হামলার ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারী সংসদ সদস্য এলাকার কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে গিয়ে সরাসরি নির্বাচিত এমপিদের অসহযোগিতার মুখোমুখি হন। তারা অভিযোগ করেছেন, কোনও নারী এমপি নিজেকে ফোকাস করতে গেলেই নানা রকম বাধার মুখে পড়েন। ভবিষ্যতে আসন হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় অনেক নির্বাচিত এমপিই নারী এমপিদের এলাকায় সক্রিয়ভাবে কাজ করতে দেন না। এর বাইরে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নারী এমপিদের স্থানীয় সাবেক এমপি বা পার্শ্ববর্তী নির্বাচনি এলাকার এমপিরা বিভিন্নভাবে অসহিযোগিতামূলক আচরণ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বর্তমান সংসদে বর্তমানে সংরক্ষিত আসনে ৫০ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৪২ জন, জাতীয় পার্টির ৬ জন এবং জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির একজন করে সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি রয়েছেন। এর বাইরে চলতি সংসদে ২০ জন মহিলা সংসদ সদস্য রয়েছেন যারা সরাসরি নির্বাচিত। যারমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১৮ জন, জাতীয় পার্টির তিনজন ও জাসদের একজন।

সংরক্ষিত আসনেরে এমপিরা নিজ-নিজ দলের সংসদ সদস্যের আনুপাতিক কোটায় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচত হওয়ার কারণে তাদের কোন নির্বাচনি এলাকা নেই। তবে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিত্বের সমতার জন্য আঞ্চলিকভাবে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এসব এমপিকে এক বা একাধিক জেলার দায়িত্ব দিয়েছেন।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের ঘনিষ্টজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, দলীয়ভাবে তাকে নাটোর জেলার দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি সেখানে সরাসরি কাজ করতে পারেন না। ওই এলাকায় গেলে তাকে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয় বলে জানা গেছে। বিষয়টিসরাসরি স্বীকার না করে তুহিন বলেন, এ পর্যন্ত নাটোরে মাত্র দুবার গিয়েছি।কোনও কাজ করতে পারিনি। যা করার মিরপুরের জন্যই করেছি।

অবশ্য মিরপুর কাজ করতে গিয়ে কোনও বাধা এলেও মোকাবিলার ক্ষমতা ও মনোবল এই তার রয়েছে বলে তুহিন জানান। বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তুহিন বলেন, নেত্রীর নির্দেশমতো আমি এলাকার মানুষের পাশে আছি, থাকব। কে আমাকে কী মনে করলেন, তা নিয়ে কিছু মনে করি না। আমার অধিকার যেখানে আছে, সেটা আদায়ের ক্ষমতা আমার আছে। এখানে আমাকে কেউ বাধা দিয়ে আটকে রাখতে পারবেন না।

স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে কোনও বিরোধ নেই দাবি করে তুহিন বলেন, কেউ ভালো কাজ করলে অন্যদের মধ্যে ঈর্ষা সৃষ্টিই হতে পারে। আজ আমি সংরক্ষিত আসনের এমপি। নিশ্চয়ই সবার স্বপ্ন রয়েছে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হতে। এটা মনে করে, কেউ আমাকে তাদের পথের কাটা মনে করলে তো আমার কিছু করার নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তুহিন বলেন, বিভিন্ন জায়গায় শুনি, আমাদের মহিলা এমপিদের ঠিকমতো কাজ করতে দেওয়া হয় না। তবে, আমি অন্যদের মতো দুর্বল নই। কেউ আমাকে বাধা দিয়ে আটকাটে পারবেন না। নেত্রীর নির্দেশ ছাড়া অন্য কারও কথায় আমি গুরুত্ব দেই না। রাজনীতির পথে কাটা থাকবে এই কাটা অতিক্রম করে চলার মতো ক্ষমতা আমার রয়েছে।

ঢাকা ১৪ আসনের (মিরপুর) সরকার দলীয় সদস্য আসলামুল হক আসলাম এ বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ওই সংসদ সদস্যের (সাবিনা আক্তার তুহিন) বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না এবং আমি গুরুত্ব নেই না। তিনি যেটা চাচ্ছেন করতে দেন। তারপর নিজের থেকেই থেমে যাবে।

তুহিনকে নিজের সমকক্ষ মনে করেন না এমনটা জানিয়ে আসলাম আরও বলেন, তিনি আমার কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নন আর তাকে সমকক্ষও মনে করি না। তাকে নিয়ে আলোচনা করলে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ পাবে। আমার কর্মীদের বলে দিয়েছি।  কেউ বললে আমার কাছে তার আসার দরকার নেই। কর্মীদের নিষিদ্ধ করা আছে তার ব্যাপারে আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করা যাবে না। আমি তার ভালো মন্দ কিছুই শুনতে চাই না। তার আওয়াজই আমি শুনতে চাই না।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ মুনিম বাবুর সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পন্ন রয়েছে হবিগঞ্জ ও সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর। দুই এমপির সঙ্গে কেয়া চৌধুরী ও তার কর্মীদের একাধিকবার প্রকাশ্য সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে। জের ধরে গত বছরের শেষ দিকে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি আবু জাহিরের কর্মীদের সঙ্গে কেয়া চৌধুরীর এপিএস লাঞ্ছিতও হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনায় ‘অদৃশ্য’ নির্দেশে স্থানীয় পুলিশ মামলা নিতেও অস্বীকার করে বলে কেয়া চৌধুরী হতাশা প্রকাশ করে সেই সময় ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন। ঘটনার পর কেয়া চৌধুরী জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে নালিশ করেও কোনও সমাধান পাননি বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিজে জানা গেছে, সাবিনা আক্তার তুহিন ও কেয়া চৌধুরী ছাড়াও সংরক্ষিত আসনের নির্বাচিত এমপি সানজিদা খানম, বেগম সফুরা খানম, সেলিনা জাহান লিটা, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বেগম নাসিমা ফেরদৌসী, বেগম নিলুফার জাফর উল্লাহ, ফিরোজা বেগম, কামরুন নাহার চৌধুরী, নুরজাহান বেগম, বেগম সেলিনা আক্তার বানুসহ বেশ কয়েকজন নারী এমপিদের সঙ্গে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত এমপিদের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংরক্ষিত আসনের এমপি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, নির্বাচিত ও সংরক্ষিত আসনের এমপি হিসেবে মর্যাদার দিক থেকে সমান হলেও দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। এলাকায় কাজ করতে গিয়েও আমরা সেটা বুঝতে পারি। নির্বাচিত এমপি হিসেবে আমি যেভাবে জনগণের থেকে সাড়া পেয়েছি এখন সংরক্ষিত আসনের এমপি হিসেবে তা পাই না।

সম্প্রতি এলাকার একটি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের জের ধরে স্থানীয় জাতীয় পার্টির এমপির সঙ্গে তার বিরোধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, স্থানীয় এমপি তার প্রতিটি কাজে অসহযোগিতামূলক আচরণ করেন।

জাতীয় পার্টির এমপি বেগম খোরশেদ আরা হক বলেন,  প্রশাসনের অনেকে আমার কথা শোনেন না। কোনও অনুরোধ করলে রাখেন না। স্থানীয় এমপি বললে তারা ঠিকই শোনেন।

এ বিষয়ে সফুরা বেগম বলেন, সমাজ ও প্রশাসন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের মূল্যায়ন করে না। যত ভালো কাজই করি না কেন, মূল্যায়ন করা হয় নারী হিসেবে।

এদিকে, সংরক্ষিত আসনের বেশ কয়েকজন এমপি স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুললেও তারা প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে রাজি হননি। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে তাদের ওপর নতুন নতুন চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সম্প্রতি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বেশির ভাগ নির্বাচিত সংসদ সদস্য সংরক্ষিত আসনের সংসদদের ইতিবাচকভাবে মেনে নিতে চান না। তারা রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ধরে রাখার জন্যই নারী সংসদ সদস্যদেরর কাজে বাধা দেন।

একাধিক এমপি ও মহিলা এমপি বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালনে তাদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয় অবহিত করেছেন উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, এটা ঠিক কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি নির্বাচিত ও সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক রয়েছে। তবে, আস্তে-আস্তে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে। আমি মনে করি, ভবিষ্যতে এটা আরও কমে আসবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 Dailycoxsbazar
Theme Customized BY Media Text Communications