সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ’৯০ এর স্বৈরচার বিরোধী ছাত্র গণআন্দোলনের সাবেক ছাত্র নেতা সরওয়ার আলম বলেছেন; জামাতকে নিয়ে সম্প্রীতির বন্ধন করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন সম্ভব নয়।
যারা স্বাধীনতা বিরোধী এই জামাতীদের সাথে নিয়ে এবং তাদের বগলদাবা করে চলেন তাদের মূখে সন্ত্রাস দমন ও জঙ্গিবাদ দমনের কথা মানায় না। এই জামাতীরাই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের প্রেতাত্মা। জঙ্গিবাদ ও জঙ্গি জামাত বিএনপি’রই সৃষ্টি।
জামাতীদের ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তারা যেন আমাদের ভেতরে ঢুকে গিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে।
আমাদেরও যেসব নেতাকর্মী এই জামাতীদের প্রশ্রয় দিবে, তাদের সাথে আত্মীয়তা করবে আমরা তাদেরকেও এড়িয়ে চলবো, বয়কট করবো। যেসব নেতাদের সাথে জামাত কানেকশন আছে আমরা তাদেরও বাদ দিয়ে অসম্প্রাদায়ীক চেতনায় বিশ্বাসী ও স্বাধীনতার পক্ষের সমাবের সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের সংগঠিত করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করবো।
২৭ জুলাই লক্ষ্যারচর আইডিয়াল স্কুল প্রাঙ্গনে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামশুল আলম মেম্বারের সভাপতিত্বে ও আবছার উদ্দিন মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সমাবেশে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সরওয়ার আলম আরও বলেছেন, গত ২৩ জুলাই চকরিয়া পৌর শহরের চিরিঙ্গায় মহাসড়কে স্বাধীন মঞ্চ নামের একটি সংগঠন! জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্যবাদ বিরোধী ‘সম্প্রীতির বন্ধন’ নামে একটি কর্মসূচী পালন করেছে। ওই কর্মসূচীতে উপজেলা পর্যায়ের আমাদের এক বড় নেতার সাথে জামাতের এক নেতাও বক্তব্য রেখেছেন। ওই জামাত নেতার বক্তব্যে আমাদের ওই নেতা করতালিও দিয়েছেন।
জামাত নেতাদের সাথে আমাদের ওই ধরণের কিছু নেতা তথা কথিত সম্প্রীতির বন্ধন! কর্মসূচী পালন করার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রিন্ট মিড়য়ায় প্রচারও করা হয়। এতে আমরা লজ্জিত হয়েছি, আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ হয় এমন কাজ আমরা কাউকে করতে দিতে পারি না।
তাই আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, যারা জামাত নেতাদের সাথে এভাবে কর্মসূচী পালন করেছে সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সেখানে আওয়ামীলীগকে টেনে এনে সবাইকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না, জঙ্গিবাদ বিরোধী আমাদের গড়ে তোলা প্রতিরোধ আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেয়া যায় না।
গত ২৩ জুলাইয়ের সেই জামাত নেতাদের সাথে নিয়ে সেই তথা কথিত ‘ সম্প্রীতির বন্ধন’ নামের কর্মসূচীর সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক ছিল না। লক্ষ্যারচরের এ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন চৌধুরী জিয়া, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ছৈয়দ আলম কমিশনার, সদস্য সচিব সাবেক কমিশনার শ্রমিক নেতা ফজলুল করিম সাঈদী, আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর হোছাইন, শামশুল আলম মেম্বার, হাজী রশিদ আহমদ, ছৈয়দ মিয়া, আবু শামা মেম্বার, মাষ্টার রশিদ আহমদ, সরওয়ার উদ্দিন মাহমুদ।
সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে কবির হোসেন মেম্বারকে সভাপতি ও আবছার উদ্দিন মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়।