ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন, ডেইলি কক্সবাজার :
কেমন আছেন গরীবের বন্ধু খ্যাত উখিয়া-টেকনাফের আলোচিত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। নানা সময় তাকে নিয়ে হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। আর এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পরপর দুইবার। এর আগে ছিলেন টেকনাফ পৌরসভার মেয়র।
২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুর রহমান বদি এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুর রহমান বদি।
অসীম ধৈর্য ও নেতৃত্বের দৃঢ়তার কারণে নিয়মিত ছুটে যান তার নির্বাচনি এলাকা উখিয়া-টেকনাফের প্রত্যন্ত জনপদে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ সর্বস্তরের নারী-পুরুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি ।
কার কি সমস্যা তা তিনি ধৈর্যসহকারে শোনেন, সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থাও করেন। এছাড়া সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন সময় অসহায় মানুষের মাঝে চাল, কম্বল সহ নানা প্রয়োজনীয় জিনিষ বিতরণ করেছেন। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ, রাস্তা-ঘাট সংস্কার করার ক্ষেত্রে তিনি সরকারের অনুদানের আশায় বসে না থেকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থ দান করে সমস্যার সমাধান করেছেন।
এছাড়াও তিনি নিজের অর্থায়নে উখিয়া-টেকনাফের প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। যা শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
রাস্তাঘাট-মসজিদ-মন্দির-মাদ্রাসার উন্নয়নের পাশাপাশি উখিয়া-টেকনাফের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় হাসপাতালের আসন বৃদ্ধি, দুই উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপন, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে দৃষ্টি নন্দন ১৫টি ব্রীজ-কালভার্ট নির্মান, অধিকাংশ এলাকায় সাইক্লোন শেল্টার, জেটি নির্মান, প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘূর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন, উখিয়ায় ৩ টি রাবার ড্যাম নির্মান সহ তার নেতৃত্বে উন্নয়নের মাইলফলক স্থাপিত হয়েছে সীমান্ত জনপদে।
এছাড়াও টেকনাফ সাবরাংয়ে ট্যুরিস্ট জোন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এই জোনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। আর এর জন্য মেরিন ড্রাইভ রোডের নির্মান কাজ প্রায় শেষের পথে।
দুই উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস, উখিয়া ও টেকনাফ কলেজে নতুন ভবন ও অনার্স চালু করা হয়েছে। আর এমপি বদির একান্ত প্রচেষ্টায় সরকারীকরণ হয়েছে উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ, টেকনাফ ডিগ্রী কলেজ ও উখিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়।
এসকল কারণে, উখিয়া-টেকনাফের লোকজনের মুখে মুখে বর্তমান সরকারের আমলে যে উন্নয়ন বিপ্লব ঘটেছে, তা অন্যকোনো সরকারের আমলে হয়নি। যা সম্ভব হয়েছে এমপি বদির সার্বিক প্রচেষ্টায়। তাই তাকে একজন সফল রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব ও সফল এমপি বলেই মনে করেন উখিয়া-টেকনাকবাসী।
টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার আলম বলেন, এমপি বদি সবসময় গরীব-দুঃখি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন। সেই সাথে এই জনপদের উন্নয়নের তার বিশাল অবদান রয়েছে।
টেকনাফ পৌর স্টুডেন্ট ফোরামের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কফিল উদ্দিন বলেন, পিছিয়ে পড়া টেকনাফ উপজেলাকে এগিয়ে নিতে এমপি বদির বিকল্প নেই। তিনি সাধারন মানুষের নেতা।
উখিয়া উপজেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক ইমাম হোসেন বলেন, নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল এমপি বদি। আর বর্তমান সরকারের আমলে তিনি উখিয়া-টেকনাফে যে উন্নয়ন করেছেন তা এই এলাকার জনগন আজীবন মনে রাখবে।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক খান জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবদুর রহমান বদি এলাকায় যে উন্নয়ন করেছেনে তা বিগত অন্য কোন সরকারের আমলে হয়নি। এজন্য তিনি আওয়ামীলীগ সরকার ও সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তবে তাকে নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে। বিভিন্ন কারনে গনমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও আলোচনায় এসেছেন এমপি বদি।
স্থানীয় রাজনৈতিক বুদ্ধারা বলেন, ‘মানুষ, একমাত্র মানুষই ইতিহাস রচনা করে। এটা ঠিকই যেমানুষ কখনো কখনো ভুলও করে। কিন্তু নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে শেষ পর্যন্ত মানুষের জয়ই অবশ্যম্ভাবী। জনপ্রিয় নেতা এমপি বদি বেলায়ও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি বদি বলনে এর মাধ্যমে তিনি সারা বাংলাদেশে পরিচিত হয়েছেন। এছাড়াও এর মাধ্যমে তার জনপ্রিয়তাও বেড়েছে বলেও দাবী করেন।
তিনি আরো বলেন, ভালো কাজ করলে সমালোচনা থাকবে। আর এই সমালোচনাকে সঙ্গী করেই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ের কথা জানিয়ে সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি বলেন, গরীব-দুঃখী মানুষকে নিয়েই তার রাজনীতি। সবসময় চান সাধারন মানুষের কাতারে থাকতে।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বধীন আওয়ামীলীগ সরকারের সহযোগীতায় উন্নয়নের পাশাপাশি উখিয়া-টেকনাফের সাধারন মানুষের সমস্যা সমাধানে তিনি সবসময় সচেষ্ট।