কৃষকদের ন্যায্য মূল্য প্রদানের লক্ষে বোরো ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এবার জেলায় প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ৮ হাজার ১৬৯ মেট্রিক টন ধান কিনবে সরকার। এতে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৩ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে। গত ৫ মে আগামী ৫ জুন পর্যন্ত একমাস ধান সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত চাল সংগ্রহের পাশাপাশি ধান সংগ্রহ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, এবার সদর উপজেলায় ১ হাজার ৩০ মেঃ টন, রামুতে ১ হাজার ৭ মেঃ টন, চকরিয়ায় ২ হাজার ৭শ’ ৬১ মেঃ টন, পেকুয়ায় ৯শ ৪৯ মেঃ টন, উখিয়ায় ৮শ’ ৮৬ মেঃ টন, টেকনাফে ১৭০ মেঃ টন, মহেশখালীতে ১ হাজার ১১ মেঃ টন, কুতুবদিয়া থেকে ৩শ’ ৫৫ মেঃ টন ধান সংগ্রহ করবে সরকার।
এ লক্ষে ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রান্তিক চাষীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকায় কৃষি উপকরণ সহয়তা কার্ড ও জাতীয় পরিচয় পত্রের কার্ডধারী কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তালিকার বাইরে ফড়িয়া, ব্যবসায়ী ও দালালদের কাছ থেকে ধান কেনা যাবে না।
ধান সংগ্রহ কার্যক্রম সরাসরি জেলা প্রশাসকের তত্ববধানে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তারা মনিটরিং করবেন। ধান জাতের মধ্যে আর্দ্রতা ১৪%, বিজাতীয় পদার্থ ০.৫%, ভিন্ন জাতের ধানের মিশ্রন ৮%, অপুষ্ট ও বিনষ্ট দানা ২% ও চিটা ০.৫% পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংগ্রহ করা যাবে।
ক্রয়কৃত ধানের মূল্য সরাসরি কৃষকের ব্যাংক হিসাবে পরিশোধ করা হবে। এ উপলক্ষে গত ৯ মে সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা খাদ্য শস্য সংগ্রহ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন জানান, প্রতি বছর ফড়িয়াদের ফাঁদে পড়ে কৃষকরা ধানের প্রকৃত দাম পায়না। তাই কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য প্রদানের লক্ষে সরকার সরাসরি ধান সংগ্রহ কার্যক্রম মনিটরিং করবে। এ ক্ষেত্রে কেউ অনিয়মের আশ্রয় নিলে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা। তিনি কৃষকদের সরকার ব্যতিত কোন ব্যক্তি, ব্যবসায়ী বা ফড়িয়াদের ধান বিক্রি না করার জন্য অনুরোধ জানান।