এম.এ আজিজ রাসেল : কক্সবাজার জেলায় এখনো কমেনি ভোজ্য তেলের দাম। ভোজ্যতেলের দাম লিটারে পাঁচ টাকা কমানোর ঘোষণার দু’দিন পরও আগের মূল্যে ভোজ্যতেল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি এ নির্দেশনা এখনও ব্যবসায়ীদের কাছে এসে পৌঁছায়নি বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ফলে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে তেল। জানা যায়, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে গত ১৪ জানুয়ারি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে পাঁচ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছিলেন। শহরে পাইকারি বাজারে বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ৮৫ থেকে ৮৮ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ৯৫ থেকে ১০২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা এখনও আমরা পাইনি। তবে দাম কমানোর ক্ষেত্রে ক্যান বা প্যাকেটজাত তেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। খোলা তেলের ক্ষেত্রে আগের দামই বহাল থাকবে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ থেকে জেলার বিভিন্ন পাইকারি ব্যবসায়ীরা তেল আনেন। তাঁরা দাম কমানোর ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেননি এবং আগের দামেই তেল কিনতে হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা আগের দামেই তেল বিক্রি করবেন। কিন্তু এ নিয়ে জেলার বাজারে ক্রেতাদের সাথে ব্যবসায়ীদের বাকবিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে।
কক্সাবাজার দোকান মালিক ফেডারেশনের সভাপতি আলহাজ মোস্তাক আহমদ বলেন, আগের কেনা বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি শেষ হওয়ার আগে তাঁরা নতুন দামে তেল ছাড়বেন না। এক্ষেত্রে দাম কমতে একটু সময় লাগবে। বড় বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন জানান, কোম্পানি গুলো বোতলজাত তেলের দাম না কমালে তাঁরা কমাতে পারছেন না। বোতলজাত তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বোতলের গায়ে লেখা থাকার কারণে নির্ধারিত দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা জানান, শীতকালে পাম অয়েল জমে যাওয়ায় সয়াবিন তেলের চাহিদা বেড়ে যায়। বছরের অন্যান্য সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা পামকে সুপার পাম ও সুপার পামকে সয়াবিন বলে চালিয়ে দেন। কিন্তু শীতকালে এটি সম্ভব হয় না। এ সময় সয়াবিন তেলের চাহিদা বেশি থাকায় কোম্পানিগুলোও দাম কমাতে চায় না। তবে আগের কেনা ভোজ্য তেলে লোকসান গুনে কম দামে বিক্রি না করলেও নতুন করে যে তেল কেনা হচ্ছে, তা লিটার প্রতি ৫ টাকা কমেই বিক্রি করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তেল ব্যবসায়ীরা। ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ থেকে কম দামে তেল ছাড়া হয়েছে। তবে খুচরা পর্যায়ে যাদের কাছে তেল মজুদ রয়েছে, তারা হয়তো ওই তেল শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করবে। সে ক্ষেত্রে আরো দু-একদিন সময় লেগে যেতে পারে। ব্যবসায়ী নেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, পাইকারী পর্যায়ে দাম ইতিমধ্যে কমে গেছে। খুচরা পর্যায়ে শিগগিরই কমে যাবে বলে আশা করছি।