কক্সবাজারে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৪২ জন শিশু কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে ১৭ শিশু। এই সময়ে জেলার অন্যান্যস্থানে মারা যায় আরো ১৮ জন শিশু। মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলো নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী। এছাড়াও ছিলো সর্দি-কাঁশিসহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগও ছিল।
সরেজমিনে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, এই হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড এখন রোগীতে ঠাসা। বেড ছাড়াও ফ্লোরে রাখা হয়েছে রোগী শিশুদের। যার মধ্যে বেশিরভাগই নিউমেনিয়া রোগী। আর এসব শিশুকে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
রোগীর অভিভাবকদের অভিযোগ, হাসপাতালে তাদের শিশুকে ভর্তি করা হলেও যথাসময়ে চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না। আর নার্সরাও অবহেলা করছে সেবা প্রদানে। তবে চিকিৎসক ও নার্সরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন নার্স ও ডাক্তার সংকটের পরও তারা সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন রোগীদের।
নার্সরা জানান, দিন-রাতে ৫ জন নার্স দায়িত্বে থাকলেও শিফ্ট ভাগ করার কারণে অনেক সময় ২ জন নার্সকে ৭০-৮০ জন রোগী সামাল দিতে হয়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সোলতান আহমদ সিরাজী জানান, গত এক সপ্তাহে ঠান্ডা জনিত শিশু রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৪২ জন। এসব রোগীর মধ্যে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ নিউমোনিয়া, জ্বর ও কাঁশির রোগী বেশি। এসব রোগীর মধ্যে গত এক সপ্তাহে ১৭ জন শিশু মারা গেছে। যাদের বেশিরভাগই নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত ছিল। মারা যাওয়া শিশুরা আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ফলে শেষ মুহুর্তে অনেক চেষ্টা চালিয়েও তাদের বাঁচানো যায়নি।
কক্সবাজারের বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুল হক চলতি শীত মৌসুমে শিশুদেরকে ঠান্ডা থেকে দূরে রাখা, ধোঁয়ামুক্ত আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে যেখানে বাতাস চলাচল করতে পারে সেই অবস্থায় রাখার পরামর্শ দেন।