জেলার ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ ও দুইটি পৌরসভার নির্বাচনে মহেশখালী ও চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ সফল হয়েছে। কুতুবদিয়ায় এগিয়ে আছে বিএনপি, তবে স্থানীয় সাংসদের বিরোধীতার কারণে টেকনাফে তিনটি ইউনিয়নে হেরেছে আওয়ামী লীগ।
জেলায় প্রথম দফা পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনে মহেশখালী ও চকরিয়া পৌরসভায় সাফল্য পেয়েছে আওয়ামী লীগ। কুতুবদিয়ায় আওয়ামী লীগ সন্তোষজনক ফলাফল করলেও এগিয়ে আছে বিএনপি। টেকনাফে এমপি বদির জয় হলেও হেরেছে আওয়ামী লীগ।
প্রাপ্ত ফলাফলে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে মহেশখালী উপজেলায় সর্বোচ্চ ভাল ফলাফল করেছে আওয়ামী লীগ। ২০ মার্চ মহেশখালী পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ের পর একটি ইউনিয়ন ছাড়া ৬টিতে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। এতে একজন বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সমর্থনেই বিজয়ী হয়েছেন তিনি।
মহেশখালী উপজেলা আওয়মাী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, মহেশখালীতে চলমান উন্নয়নের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয় সাংসদের প্রতি মহেশখালীর মানুষ আস্থা রেখেছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান বিজয়ী হওয়ায় এলাকার উন্নয়ন তরান্বিত হবে। মানুষ স্বতস্ফুর্ত ভাবে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। তিনি আরো জানান, মাতারবাড়িতে বিজয়ী মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা। দলের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ। আওয়ামী লীগ সমর্থিত তিনজন প্রার্থীর মধ্যে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া বড়মহেশখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এগিয়ে থাকলেও ১০ হাজারের অধিক ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।
কুতুবদিয়া আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর স্বাধীনতার পক্ষে একজন ব্যক্তি চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিগত সময়ে ৬ বার চেয়ারম্যান হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী। এরপরে নির্বাচিত হয়েছেন তারই ছোট ভাই বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। গত ২২ মার্চ নির্বাচনে প্রথম বারের মত হেরেছেন ওই পরিবারের প্রার্থী। তিনি আরো জানান, সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক’র উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তার কারণে তিনি সহজেই বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া বড়ঘোপ ইউনিয়নে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডঃ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। কৈয়ারবিল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধীক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী সামান্য ভোটে হেরে যান।
টেকনাফ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৩টিতে আওয়ামী লীগের প্রাথীরা হেরেছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন সাংসদ বদি প্রকাশ্যে বিরোধীতা করায় আ’লীগ প্রার্থীরা হেরে গেছেন। বাহারছড়া ইউনিয়নে জয়ের মুখ দেখেছে আওয়ামী লীগ।
অপরদিকে ১৮টি ইউনয়ন ও ২টি পৌরসভার নির্বাচনে চকরিয়া, মহেশখালীতে বিএনপির প্রার্থীদের খোঁজে পাওয়া না গেলেও কুতুবদিয়ায় অন্তত ৩টি ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপি প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
জেলা বিএনপি শীর্ষ নেতাদের কেউ এ ব্যাপারে কথা না বললেও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ইউপি নির্বাচনে কুতুবদিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী জানিয়েছেন, কুতুবদিয়ার ৬টি ইউনিয়নেই সুষ্ট ভোট হয়নি। যে ৩টিতে বিএনপি বিজয়ী হয়েছে সুষ্ট ভোট হলে আরো বেশী ভোটে বিজয়ী হতেন বিএনপি প্রার্থীরা। এ ছাড়া আলী আকবর ডেইলে কোন ভোটই হয়নি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সুষ্ট নির্বাচন আয়োজনে সরকার সফল হয়েছে। সাধারণ ভোটাররা তাদের পছন্দমত প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নের পক্ষেই ভোট দিয়েছে সাধারণ মানুষ।