জেলা আ’লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান
ডেইলি কক্সবাজার ডেস্ক ::
আপডেট সময়
সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
৫২০
বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে নিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ভবিষ্যত কান্ডারিরা। দলীয় প্রধানের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্বভার অর্পণ করা হলো এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও মুজিবুর রহমানের হাতে। প্রধানমন্ত্রীর সেই সিদ্ধান্তকে সর্বসম্মতিক্রমে স্বাগত জানিয়েছেন এবারের কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদের প্রার্থীরা।
রবিবার বেলা ২ টা ১৮ মিনিটের দিকে শেষ হয় জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশন। শহীদ দৌলত ময়দানের সেই অধিবেশন শেষ ঢাকা থেকে আগত আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা চলে যান হিলটপ সার্কিট হাউজে। যাওয়ার আগে প্রার্থীদেরও হিলটপে যাওয়ার নির্দেশ দেন নেতারা। নেতাদের গাড়ির পেছনেই মিছিল সহকারে একের পর এক প্রার্থীও সমর্থকরা রওয়ানা হন সার্কিট হাউজের উদ্দেশ্যে। সমর্থকরা হিলটপ সার্কিট হাউজের নিচে অবস্থান নেন। আর প্রার্থীরা সবাই সার্কিট হাউজের হলরুমে রুদ্ধধার বৈঠকে মিলিত হন। ওখান থেকেই ঘোষনা আসে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নাম।
সমর্থকদের শ্লোগানে শ্লোগানে যখন চারপাশ মুখরিত তখন কেন্দ্রীয় নেতারা নেত্রীর পাঠানো নির্দেশ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছিলেন। এর জন্য তাঁরা সময় নিয়েছেন মাত্র ৪৫ মিনিট। ওই অল্প সময়েই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জেলা নেতাদের সভানেত্রীর নির্দেশনা সম্পর্কে অবহিত করেন।
বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার নির্দেশনা জানাতে গিয়ে সৈয়দ আশরাফ প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পর ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে এসে আওয়ামীলীগের হাল ধরেন। সেই থেকে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আ’লীগ আজকের অবস্থান তৈরি করেছেন। বসেছেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। এসব কিছুই নেত্রীর দূরদর্শিতার ফসল। শেখহাসিনা শুধু কেন্দ্রীয় নেতাদের নয়, জেলা, উপজেলা এমনকি ওয়ার্ড আ’লীগ নেতাদের খবরও রাখেন। তিনি প্রতিটি জেলায় আওয়ামীলীগকে সাজানোর জন্য কিছু পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। এরই ধারবাহিকতায় কক্সবাজার আওয়ামীলীগ নিয়েও তাঁর বিশেষ দিক নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতেই কেন্দ্রীয় নেতারা কক্সবাজার এসেছেন।
এসময় সৈয়দ আশরাফ আরো বলেন, তবে নেত্রী বলে দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা নেতাদের সাথে কথা বলেই তাঁর নির্দেশনা জানাতে। জেলা নেতারা মানলেই নেত্রীর নির্দেশনা জানানো হবে নতুবা নয়।
সৈয়দ আশরাফের এমন কথা শোনার সাথে সাথে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃত্বের দাবীদাররা সমস্বরে বলেন, তারা নেত্রীর সকল নির্দেশনা মানেন। নেত্রী যাকে ইচ্ছে তাকেই তাদের নেতা বানাতে পারেন। এতে তাদের কোন দ্বিমত থাকবে না। তারা নতুন নেতৃত্ব স্বাগত জানানোর সহযোগীতা করবেন বলেও জানান।
জেলার প্রার্থীদের কাছ থেকে এমন আশ্বাস পেয়ে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার লিখিত নির্দেশনা পাঠ করে শোনান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর এমপি। তিনি সভাপতি হিসেবে এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করেন। আর সাথে সাথে উৎফুল্ল হয়ে উঠে পুরো পরিবেশ। ঘোষনার পর পর জেলা আওয়ামীলীগ সকল প্রার্থীদের সাথে কোলাকুলি করেন নতুন নেতারা।
এসময় মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান ও মোজাম্মেল পরিবারকে বিরোধ ভুলে একসাথে কাজ করার অনুরোধও জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। নিজেদের বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে নির্দেশও দেন। পরে মোজাম্মেল পরিবারের সাথে করমর্দণ করেন নবগঠিত কমিটির সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান।
নব গঠিত জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান জানান, সাংগঠনিকভাবে জেলা আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করা হবে। এজন্য তারুণ্য নির্ভর, বির্তকহীন, মেধাবী ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে।
এ বিষয়ে নবগঠিত জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা জানান, তিনি ও সাধারন সম্পাদক শ্রীঘই ঢাকা যাবেন। নেত্রীর সাথে দেখা করবেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে পরামর্শ করবেন। এরপর ফিরে এসে পুরাতন কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও এবারের কাউন্সিলের প্রার্থীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে একটি শক্তিশালী জেলা কমিটি গঠন করবেন।