কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। আবারো ২দিন পিছানো হল সম্মেলনের তারিখ। দফায় দফায় জেলা আওয়ামী লীগের বৈঠক হলেও কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে সভা। যার ফলে দলের দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
ইতোমধ্যে জেলার ৮টি উপজেলা, দুইটি সাংগঠনিক উপজেলা ও একটি পৌরসভার সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন হলেও জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের জন্য এখনো প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি জেলা আওয়ামী লীগ।
অপরদিকে আরো ২দিন পিছিয়ে ৩০ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৎপরতা শুরু করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে এডঃ এ কে আহমদ হোসেন, সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, নজরুল ইসলাম চৌধুরী,এডঃ সিরাজুল মোস্তফা ও কানিজ ফাতেমা মোস্তাক ও জাফর আলম জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে কক্সবাজার শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাশেদুল হক রাশেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য রাসেদুল ইসলাম ও রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল তৎপরতা চালাচ্ছেন।
কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর জানিয়েছেন, কেন্দ্রিয় কমিটির বিগত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া সম্মেলন যথাযথভাবে সম্পন্নের কোন বিকল্প নাই। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন তা সকলেই মেনে নিয়ে কাজ করবে। ইতোমধ্যে চুড়ান্ত হয়নি কাউন্সিলর তালিকা। এ ছাড়াও দায়িত্বরতরা কাউন্সিলর তালিকা কাটছাড় করে খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিতর্কিত করেছেন পুরো পক্রিয়াকে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক জেলা আওয়ামী লীগের একজন সহ-সভাপতি জানিয়েছেন, যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়া কঠিন। সবকটি সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হলেও সম্মেলনের ক্ষেত্র তৈরী হয়নি। তাই কেন্দ্র থেকে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত দেওয়ার কোন বিকল্প নেই।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি জানিয়েছেন, তারিখ পরিবর্তনের বিষয়টি কেন্দ্র থেকে করা হচ্ছে। এতে আমাদের করার কিছু নেই।