নিউজ ডেস্ক, ডেইলি কক্সবাজার ডটকম :
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নতুনমুখ আসছে শীঘ্রই। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইমরুল রাশেদ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ওই পদে আর বহাল থাকতে পারছেন না বলে সংগঠনের কেন্দ্রিয় সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রলীগ কেন্দ্রিয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক বাধ্যবাধকতার কথা স্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে একজনকে দায়িত্ব প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ৪ জুন ইউপি নির্বাচনের তপশীলের ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত হয় কক্সবাজার সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদ। ইতিমধ্যে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে শপথও নিয়েছেন।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র মতে, জেলা পর্যায়ের কোন নেতা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে অথবা রাষ্ট্রীয় কোন পদে দায়িত্বরত থাকলে তিনি সাংগঠনিক পদ-পদবী আর বহাল রাখতে পারবেন না। তবে কেন্দ্রিয় কমিটি সার্বিক দিক বিবেচনা করে সংগঠনের বিশেষ স্বার্থের প্রয়োজনে বহাল রাখার সিদ্ধান্তও দিতে পারবেন।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল রাশেদ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় সাংগঠনিক পদে আর বহাল থাকছেন না। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকই ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের কথা।
জেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা হলে জানায়, জেলা ছাত্রলীগের ১২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে নেতৃত্ব দেয়ার মতো যোগ্য কয়েকজন নেতা রয়েছেন। ফলে এ পদে নেতৃত্ব দেয়ার মতো নেতার সংকট নেই।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের ক্ষেত্রে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনের বিশেষ স্বার্থে কেন্দ্রিয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তও এক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই বলে অভিমত প্রকাশ করেন এসব ছাত্রলীগ নেতারা।
জেলা ছাত্রলীগের ১২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে এক নম্বর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হচ্ছেন মোরশেদ হোসাইন তানিম। এরপরেই পর্যায়ক্রমে রয়েছেন- ২নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম রুবেল, মো. শহীদ উল্লাহসহ ৮ জন যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। দলীয় গঠনতন্ত্র মতে ইমরুল রাশেদ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পাওয়ার কথা এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিম।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা ইমরুল রাশেদ জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদটি পেতে বেশ কয়েকজন নেতা নানা মহলে দৌঁড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার প্রায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রিয় কমিটি এখনো এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি।
তবে সর্বশেষ চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণের পর তার পরির্বতে একজনকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব প্রদান করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ছাত্রলীগ কেন্দ্রিয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। তিনি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক বাধ্যবাধকতার কথা স্বীকার করে বলেন, “ জেলা পর্যায়ের কোন নেতা জনপ্রতিনিধি বা রাষ্ট্রীয় কোন পদে দায়িত্বরত থাকলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি সাংগঠনিক পদে বহাল থাকতে পারেন না। সাংগঠনিক নানা ব্যস্ততার কারণে কক্সবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। শীঘ্রই সাধারণ সম্পাদক পদে নতুনমুখ দেখতে পাবেন।”
দলীয় গঠনতন্ত্র ও সার্বিক দিক বিবেচনা করে সংগঠনের এ পদে নতুন নেতৃত্ব আসছে বলে যোগ করেন ছাত্রনেতা এস এম জাকির হোসাইন।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতেয়াক আহমেদ জয় জানান, কেন্দ্রিয় কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে নতুন যে কাউকে নিয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। কক্সবাজারে ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করাই তার স্বপ্ন।