কক্সবাজার রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ছাএলীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ও কয়েকজন সিনিয়র ছাএনেতাকে টেকনাফের হোয়াইক্যং বিজিবি কতৃক হেনেস্তা করার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে পড়েছে কক্সবাজার।
টেকনাফ ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিক এর জন্য কাজ করতে গিয়ে বিজিবি কতৃক ককসবাজার জেলা ছাত্রলীগ নেতারা নাজেহালের শিকার হন।
আজ সকালের দিকে গাড়ী নিয়ে কয়েকজন সফরসঙ্গীসহ টেকনাফের হোয়াইক্যং চেকপোস্ট অতিক্রম কালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়সহ ৮জনকে সন্দেহ করে গতি রোধ করে বিজিবি।পরে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইসতিয়াক ও পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি তামিমকে ছেড়ে দিলেও আটক রেখেছে আরো ৬ জন নেতা-কর্মীকে।
প্রতিবাদে কক্সবাজার ও উখিয়ার বিভিন্ন ষ্টেশনে অবরোধ করেছে ছাত্রলীগ । উখিয়ার সদর ষ্টেশন , কোটবাজার , বালুখালী ও পালংখালীতে বেরিক্যাড সৃষ্টি করে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে ।
কক্সবাজার চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে রামু উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
কক্সবাজার পৌরসভার সামনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ পদর্শন করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
এদিকে কক্সবাজার শহরের থানার রাস্তা মোড়, সিটি কলেজ, লিংক রোড ও বাসটার্মিনালে রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে অবরোধ করা হয়েছে ।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ইসমাইল সাজ্জাদ জানান, এ ধরণের ঘটনা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। টেকনাফ ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিক জয়ে লক্ষে আমরা কাজ করতে গিয়ে আমাদের কিছু নেতা-কর্মী বিজিবি আটক করেছে। তাদেকে এখনো মুক্ত করা হয়নি। আমরা জেলা আওয়ামীলীগের নেত্রীবৃন্দের সাথে বৈঠকে বসছি। শীগ্রই একটা সিদ্ধান্ত আসবে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ইমরুল রাশেদ জানান, আটক নেতা-কর্মীদের ছেড়ে দেয়ার পক্রিয়া চলছে, যদি সম্ভব না হয়। ৫৪ ধারায় চালান হতে পারে।
বিজিবি-২-ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকী জানান, আজ টেকনাফের হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী এলাকায় আসার জন্য কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোর্শেদ হোসেন তামিমের নেতৃত্বে দুটি গাড়ি কক্সবাজার থেকে টেকনাফ আসছিল। হোয়াইক্যং এলাকায় বিজিবির তল্লাশি চৌকিতে গাড়ি দুটিতে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় গাড়িতে একটি এলজি বন্দুক পাওয়া যায়। ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।