মুহাম্মদ ওমর ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :
টানা বর্ষনে ও পাহাড়ী ঢলে মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চকরিয়া সহ অাশ-পাশ এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঘরে ফেরা মানুষেরা চরম ভোগান্তি পড়ে গেছে। এতে উৎসবমুখর ঈদের অামেজের চেয়ে সাধারন মানুষেরর মাঝে নিরানন্দ অার চরম হতশায় বিরাজ করছে।
উজান থেকে নেমে অাসা পাহাড়ী ঢলের পানি মাতামুহুরী নদীতে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো আরো প্লাবিত হওয়ার সঙ্কায় অাছে মানুষ।
গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বর্ষনে ও উজান থেকে নেমে অাসা পাড়ী ঢলে মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চকরিয়ার পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চল সহ উপজেলার কাকারা, লক্ষ্যার চর, কৈয়ার বিল, হাল কাকারা, ,বি,এম চর, পূর্ব বড় ভেওলা, সাহার বিল, কোনা খালী ইউনিয়নের অন্তত ২৫ টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এলাকাগুলো হাজার হাজার মানুষ।
জানাগেছে, মাতামুহুরী নদীর পানি উপচেপড়ে নদীর তীরবর্তী ব্যাপক ভাঙ্গনে পৌর এলাকায় হাল কাকারা, নামার চিরিংগা, কোচ পাড়ার নিচু এলাকায় বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এতে কয়েক টি পুরাতন কবর স্থান ও নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।
এ দিকে ক্রমান্বয়ে পানি বৃদ্ধির ফলে ৯নং ওয়ার্ডের ১নং বাঁধ ভেঙ্গে যে কোন মুহুর্তে ফাঁশিয়া খালী সহ অাশ-পাশ এলাকা তলিয়ে যাওয়ার সঙ্কায় অাছে ওই এলাকার জনসাধারন।
এদিকে কে,বি জালাল উদ্দিন সড়কের বাটাখালী ব্রীজের পূর্ব পার্শে রুহুল কাদের মিয়ার টেকে ৪/৫ গজ রাস্তা বন্যার পানির স্রোতে তলিয়ে গিয়ে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটে, এতে মহেষ খালী, বদর খালী সহ ৭ইউনিয়নের একমাত্র যাতায়ত রোডে ঈদে ঘর ফেরা মানুষের চরম ভোগান্ত পোহাতে হচ্ছে।
বেশ কিছু এলাকার প্রায় ২৫ টি গ্রাম বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। পানি বন্ধি হয়ে পড়া লোকজন বাড়ী থেকে কোথাও বের হতে পারছেনা। এই উৎসবমুখর ঈদের অানন্দ যেন নিরানন্দ হয়ে যাচ্ছে দিনদিন।
বন্যায়, সবচেয়ে শিশু ও বৃদ্ধ সহ হাস- মুরগি, গরু-ছাগল সহ গৃহপালিত গবাদিপশু গুলো সব চেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
এখানে হতদরিদ্র মানুষ গুলো ঘর-বাড়ী ডুবে যাওয়ায় একপ্রকার মানবেতর জীবন যাপন করছে। বেশীর ভাগ এলাকায় গত বছরের পর পর ৪/৫ বন্যায় ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাধ ভেঙ্গে গেছে। তলিয়ে যাওয়া অধিকাংশ ভাঙ্গা ঘরবাড়ি এখনো মেরামত করতে পারেনি অনেকে। ভাঙ্গা বাধ মেরামত না হওয়াতে ওই ভাঙ্গা অংশ দিয়ে সহজে পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে এলাকার পর এলাকা।
স্থানীয়রা জানান, চকরিয়া এলাকায় অনেকটা বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্যাকবলিত এলাকায় অসহায় মানুষদের সরকারী অনুদান ও সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে বন্যার ভোগান্তি থেকে কিছুটা পরিত্রান পাবে দুর্গতমানুষগুলো।