পাকিস্তানের কাছেই কি হারল বাংলাদেশ? নাকি মানসিক চাপের কাছেও? দুই শ তাড়া করার চাপটা এমনই বিশাল হয়ে উঠল যে ম্যাচ শেষ হওয়ার অনেক আগেই হেরে বসল বাংলাদেশ। শরীরী ভাষায় জেতার তাড়না নেই, নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার তাগিদ নেই, শেষটুকু নিংড়ে দেওয়ার ক্ষুধা নেই। বাংলাদেশ ৫৫ রানে হারল। এই হারটা যেন ‘৫৫ রানে’র চেয়েও বেশি কিছু না হয়ে যায়!
২৫ বছর পর ইডেনে ফেরার আনন্দ আর ম্যাচ শেষে রাখতে পারল না বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ২০১ রানের জবাবে ৬ উইকেটে তুলতে পারল ১৪৬। বোলিংয়ে তো কিছু নেই, ব্যাটিংয়েও একটাই পাওয়া। সাকিব আল হাসানের ফিফটি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ ফিফটি সাকিবের। পূরণ হয়ে গেছে ক্যারিয়ারে ১ হাজার রানও।
ম্যাচের প্রথমার্ধে মনে হচ্ছিল, আজ ব্যাটসম্যানদেরই দিন। ব্যাটিং উপযোগী পরিবেশে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো অত্যাচার করেছেন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং শুরু হতেই উইকেট যেন ধাঁধা। এমন উইকেটে বোলিংয়ের সরল সূত্র ঠিক লাইন আর লেংথে বল করা। সেটাই করল পাকিস্তান। শুরু থেকে তাই হাত খুলতে পারলেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ফর্মের তুঙ্গে থাকা তামিমের ব্যাটে অবশ্য সেই ঝলক ছিল। দুটি ছক্কাও মেরেছেন ২৪ রানের ইনিংসে।
সাব্বির ২৫ করেছেন। মাশরাফির ব্যাটে ১৫। ২১ বলে ১৮ করা মুশফিক ঠিক ফর্মে ফিরছেন কি না, বোঝা যাচ্ছে না।
ব্যাটিংয়ে ১৯ বলে ৪৯ রানের ঝড়, এরপর বল হাতে দুই উইকেট। বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের দুজনকে শিকার করেছেন বলে উইকেটের দামও বেড়ে যাচ্ছে। একটি তামিম, অন্যটি সাব্বির। এর মধ্যে বেশ সাবলীল খেলতে থাকা সাব্বির তো বিভ্রান্ত হলেন গুগলিতে।
এখান থেকে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে হবে বাংলাদেশকে। ২১ মার্চ প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ।