টেকনাফের মার্কিন হত্যা মামলার পলাতক আসামি হামজালাল (৩৮) কে দুই হাজার ইয়াবা সহ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা পুলিশ আটক করেছে। তিনি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও টেকনাফ উপজেলা আ.লীগের সদস্য। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি নামক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
লোহাগাড়া থানার ওসি মো. শাহাজাহান জানান, একটি মাইক্রোবাস চুনতি নামক এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের সদস্যরা গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে দুই হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় গাড়িসহ হাম জালালকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, হামজালাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর বলেন, হাম জালাল টেকনাফ উপজেলা আ.লীগের সদস্য। ইয়াবাসহ আটক হওয়াই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
উল্লেখ যে, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে আজিজুল হক ওরফে মার্কিন মিয়া (৩০) ও নুরুল হক (২৮)কে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। এরপর হাসপাতালে আনার আগে মার্কিন মারা যায়। ওই মামলায় হামজালাল এজাহারভূক্ত তিন নম্বর আসামি।
শুধু ইয়াবা পাচার নয়; হত্যা, মানবপাচার, ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, জবর-দখলসহ আরো অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। হামজালালের ভূমিদস্যুতায় বাধা দেয়ায় গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর দিন দুপুরে আজিজুল হক মার্কিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই হত্যাকা-ে তার সাথে ছিল হামজালালের বোনজামাই ছিদ্দিক, ছিদ্দিকের পুত্র ফরিদ আলমসহ আরো চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এর আগে ‘হামজালালের মামলার চার্জসীট থেকে বাদ যাওয়ার চেষ্টা উড়িয়ে দেয়া যাবে না। সে আগে শুক্কুর হত্যা ও আবুল হোসেন নামে আরো দু’জনকে হত্যা করে হামজালালের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। সর্বশেষ মার্কিন হত্যার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিল হামজালাল। কিন্তু প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা পাচারসহ সব কালো ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে গ্রেফতার হয়েছে হামজালাল। তার গ্রেফতারের খবর টেকনাফে ছড়িয়ে এলাকায় আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।