টেকনাফ সাবরাংয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় গুরুতর আহত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী কবির আহমদ ছিদ্দিকী নির্বাচন কমিশন থেকে চিকিৎসা খরচ না পাওয়ায় স্বাভাবিক জীবন ও কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারছেনা। তিনি চিকিৎসার সাহায্যার্থে নির্বাচন কমিশন বরাবর একটি আবেদন করেও কোন চিকিৎসা খরচ পাননি। এনিয়ে তিনি পরিবার নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। সদ্য সমাপ্ত ২২মার্চের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাবরাং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আল হোসাইনিয়া এবতেদায়ী মাদরাসা মুন্ডার ডেইল কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করে ফেরার পথে নির্বাচর্নী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালায় উশৃঙ্খল এলাকাবাসী। এসময় ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কবির আহমদ ছিদ্দিকীসহ অনেকে ব্যালট ছিনতাইকারীর ইট পাটকেলের আঘাতে মাথায় জখম হয়ে গুরুতর আহত হয়।
খবর পেয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আবুজার আল জাহিদ এর নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
সেখানে উন্নত চিকিৎসার সুবিধার্থে ‘সিটি স্ক্যান অব ব্রেইন’পরীক্ষা করা হয়। এতে একজন শিক্ষকের সামান্য বেতন দিয়ে এই ব্যয় বহুল খরচ বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
এদিকে আহত কবির আহমদ ছিদ্দিকী আক্ষেপ করে বলেন, সরকারী অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েও নির্বাচন কমিশনের চিকিৎসার খরচ এখনো তিনি পাননি। বর্তমানে উন্নত চিকিৎসা ও ওষুধ সেবন তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাকে উপজেলা প্রশাসন থেকে মৌখিকভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেয়া হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো আর্থিক সহযোগিতা পাননি। এ প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদী বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এব্যাপারে আহত কবির আহমদ ছিদ্দিকী, উন্নত চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, কবির আহমদ ছিদ্দিকী রঙ্গীখালী এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবার মরহুম হাজী অছিউর রহমানের উচ্চ শিক্ষিত সন্তান এবং এলাকার একজন প্রথম এমএম ও আরো দুই বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এমএ ডিগ্রীধারী।