টেকনাফে ইয়াবা ব্যসায়ীদের মোটা টাকার লোভে পড়ে হত-দরিদ্র লোকের সন্তাদিরা হারাচ্ছে প্রাণ, সর্য্য করছে জেল জুলুম। টেকনাফের মানবপাচাররের ট্রেজেডি শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ট্রেজেডি। শুরু হয়েছে গোটা উপজেলায় যুবক/যুবতি নিধনের পালা। এ নিধন গুলো হচ্ছে মানবপাচারের নিধনের ভিন্নতর। মানবপাচারের নিধন হয়েছে সাগর, থাইল্যান্ড এবং মালেশিয়ার জঙ্গলে। কিন্তু ইয়াবা নিধনের পালা হচ্ছে মোটা মোটা ইয়াবা ট্যাবলেটের পুটলা শরীরে ঢুকিয়ে দিয়ে নিধন করা। ইদানিং টেকনাফে দুজন যুবকের তরতাজা প্রাণ চলে গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা সু-দৃড় ও গোপন রাখার স্বার্থে বেচে নেয় হত-দরিদ্র পরিবারের লোকজনদেরকে। কেন না এ সমস্ত লোকজন অর্থের অভাবে অনেক সময় অর্ধহারে, অনাহারে দিন যাপন করে। এদের কোন বড় ধরনের সমস্যা হলেও কোথাও প্রকাশ হবে না। স্বল্প টাকা দিয়ে গোপনীয় বিষয় বন্ধ করা যাবে। এ সুবাদে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা স্ব-স্ব এলাকার দরিদ্র লোকদের ছেলে মেয়েদেরকে মোটা অংকের টাকা দেখিয়ে লোভে ফেলে। এদের সাথে প্রথমে এমন ভাবে চুক্তি হয় ইয়াবা বহন কালে যদি ইয়াবা সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক হয় তাহলে সমুদয় অর্থ ব্যয় করে তাকে মামলা থেকে খালাস করে নিয়ে আসবে ইয়াবা ব্যবসায়ী। উল্লেখ থাকে যে, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন ইয়াবা সহ বহনকারীকে আটক করে নির্যাতন করে ইয়াবার মালিকের নাম জানতে চাই তা বলা যাবে না। এছাড়া ইয়াবা বহন কালে যদি কোন দূর্ঘটনায় আহত বা নিহত হয় তাহলে সম্পূর্ণ টাকা ইয়াবা ব্যবসায়ী বহন করবে। এ লোভে ফেলে শত শত দরিদ্র পরিবারের সন্তানাদিকে নামিয়ে দিচ্ছে ইয়াবা বহন কাজে। এতে অনেক যুবক/যুবতি ইয়াবা বহন করতে গিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন কারাগারে নির্যাতন নিপীড়ন ভোগ করছে। আবার অনেকেই ইয়াবা বহন করতে গিয়ে সন্তাসীদের হাতে পড়ে প্রাণ বির্সজন দিয়েছে। এর কোন পরিসংখ্যান নেই। কেন না একদিকে বহনকাজে ব্যবহৃত ব্যক্তিবর্গরা হচ্ছেন দরিদ্র পরিবারের সন্তানাদি। অপরদিকে এ ইয়াবা ব্যবসা আইনের দিক দিয়ে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। টাকার লোভে পড়ে বহন করতে গিয়ে নিখোঁজ হলে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নিতে যেতে পারে না থানায়, অর্থের অভাবে নিতে পারেনা প্রতিশোধ। বলতে পারেনা কোন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে। ফলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নিরাপদে নিস্তব্দে চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা। নেই কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মাথা ব্যথা। টাকা পিছনে সকল স্তরের লোকজন দৌড়াচ্ছে। এ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা যেখানে সমাজের নিন্দনীয় ব্যক্তি হওয়ার কথা সেখানে বর্তমানে সমাজের সকলের কাছে পুজঁনীয় ব্যক্তি হয়ে পড়েছে। সকলেই তাদেরকে সমীহা করে চলে। ভাল লোকে সামান্য অপরাধ করলে সকল স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু এ নিন্দনীয় ইয়াবা ব্যবাসায়ীরা বড় ধরনের অপরাধ সংঘটিত করলেও তা ধামাচাপা দেয় সর্বস্তরের লোকজন। এর একমাত্র কারন হচ্ছে তাদের রয়েছে কাড়ি কাড়ি ইয়াবার টাকা। সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফ উপজেলার অসংখ্য হত-দরিদ্র পরিবারের যুবক/যুবতি বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি জীবন যাপন করছে। এদেরকে ছাড়িয়ে আনার কেহ নেই। পিতা মাতার একমাত্র উপার্জনের মাধ্যমকে হারিয়ে অর্ধহারে অনাহারে দিনযাপন করছে। অপরদিকে অনেক হত-দরিদ্র পরিবার ইয়াবা বহন করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সন্তানের কোন খবর না পেয়ে শয্যাশয়ী হয়ে পড়েছে। এভাবে ধ্বংস করছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা মানব সন্তান, ধ্বংস করছে দেশের অর্থনীতি, ধ্বংস করছে দেশের ভাবমুর্তি ও ধ্বংস করছে জাতী। এ গুটি কয়েক ইয়াবা ব্যবসায়ীর কারনে দেশ ও জাতী ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।